প্রারম্ভিক আলোচনা:
অধ্যায়টা বড়। কিন্তু কিছু বেসিক অংশ থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে, তাই সে অংশগুলোই দেওয়া হল।
অধ্যায় সারবস্তু:
ভাজক টিস্যু:
১. ভাজক টিস্যুর কোষের নিউক্লিয়াস অপেক্ষাকৃত বড় আকারের।
২. প্রাইমারি ভাজক টিস্যুর উৎস “প্রোমেরিস্টেম”।
৩. সেকেন্ডারি ভাজক টিস্যু সাধারণত ক্যাম্বিয়াব নামে পরিচিত।
স্থায়ী টিস্যু:
৪. দেহের কোমল অংশ প্যারেনকাইমা কোষে গঠিত।
৫. বিভিন্ন প্রকার প্যারেনকাইমা:
ক্লোরেনকাইমা = ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত কোষ,
এরেনকাইমা = বাতাস কুঠুরি যুক্ত কোষ
৬. কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমা কোষের প্রধান কাজ উদ্ভিদকে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করা।
৭. জাইলেম টিস্যুর কাজ মূল থেকে পাতায় পানি পরিবহণ করা, এবং ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজ পাতায় তৈরি খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করে।
৮. জাইলেম টিস্যুর অংশ হচ্ছে ট্রাকিড ও ভেসেল / ট্রাকিয়া
৯. ফ্লোয়েম টিস্যুর অংশ হচ্ছে সীভ নল ও সঙ্গী কোষ
১০. ক্ষরণকারী টিস্যু দু’প্রকার: তরুক্ষীর টিস্যু ও গ্রন্থি টিস্যু
১১. গ্রন্থি টিস্যু থেকে গঁদ, রেজিন, ট্যানিন, এনজাইম, মধু, তেল প্রভৃতি নিঃসৃত হয়ে থাকে।
১২. কোলেনকাইমার কোষপ্রাচীরে পেকটিন জমা হয়, অন্যদিকে স্ক্লেরেনকাইমার কোষপ্রাচীরে লিগনিন জমা হয়।
টিস্যুতন্ত্র:
১৩. উদ্ভিদে তিন প্রকার টিস্যুতন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়, ত্বকীয়, ভিত্তি ও পরিবহন টিস্যুতন্ত্র
১৪. রক্ষীকোষ পানি শোষণ করে স্ফীত হলে পত্ররন্ধ্র খুলে যায়। (এটা একটু আজব শোনায় যে দরজা বড় হলে দরজা খুলে যায়, কিন্তু পত্ররন্ধ্রে এই অদ্ভূত ব্যাপারটিই ঘটে)
১৫. ভিত্তি টিস্যুতন্ত্র কে “আদি টিস্যুতন্ত্র”-ও বলা হয়।
১৬. বহিঃস্টিলিয় অঞ্চল: অধঃত্বক, কর্টেক্স, অন্তঃত্বক
১৭. অন্তঃস্টিলিয় অঞ্চল: পেরিসাইকেল/পরিচক্র, মজ্জা, মজ্জারশ্মি
১৮. কেবল দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডেই মজ্জারশ্মি দেখা যায়।
১৯. কাণ্ড ও পাতায় জাইলেম ও ফ্লেয়েম টিস্যু একত্রে ভাস্কুলার বান্ডল বা পরিবহণ টিস্যুগুচ্ছ তৈরি করে, কিন্তু মূলে জাইলেম ও ফ্লোয়েম পৃথক পৃথক ব্যাসার্ধে অবস্থান করে।
২০. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডে জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর মাঝখানে “ক্যামবিয়াম” নামক ভাজক টিস্যু থাকে, এজন্য এই ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল কে “মুক্ত ভাস্কুলার বান্ডল” বলা হয়।
একবীজপত্রী উদ্ভিদে এমন ক্যাম্বিয়াম টিস্যু নেই, তাই এদের ভাস্কুলার বান্ডলকে “বদ্ধ ভাস্কুলার বান্ডল” বলা হয়।
২১. মূলে “অরীয় ভাস্কুলার বান্ডল” দেখতে পাওয়া যায়। জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর বান্ডল ভিন্ন ভিন্ন ব্যাসার্ধের উপর পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।
২২. মুক্ত সমপার্শ্বীয় বান্ডল: দ্বিবীজপত্রী ও নগ্নবীজী উদ্ভিদ
২৩. বদ্ধ সমপার্শ্বীয় বান্ডল: একবীজপত্রী
২৪. কুমড়া কাণ্ডের ভাস্কুলার বান্ডল সমদ্বিপার্শ্বীয় বান্ডল-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
২৫. কেন্দ্রিয় বান্ডল:
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক-এ জাইলেম কেন্দ্রে, ফ্লোয়েম বাইরের দিকে।
লেপ্টোসেন্ট্রিক-এ ফ্লোয়েম কেন্দ্রে, জাইলেম বাইরের দিকে।
(এভাবে মনে রাখা যেতে পারে হার্ড বান্ডল-এ জাইলেম কেন্দ্রে থাকে, কিন্তু লেপ্টে থাকা নরম বান্ডল-এ ফ্লোয়েম কেন্দ্রে থাকে)
মূল, কাণ্ড ও পাতার প্রাথমিক অন্তর্গঠন:
২৬. গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যসমূহ:
বিষয় |
একবীজপত্রী মূল |
দ্বিবীজপত্রী মূল |
ভাস্কুলার বান্ডল-এর সংখ্যা |
৬ এর বেশি |
২ থেকে ৬ টা |
মজ্জা |
বড় |
ছোট |
বিষয় |
একবীজপত্রী কাণ্ড |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ড |
কাণ্ডরোম |
অনুপস্থিত |
বহুকোষী (মূলে এককোষী) |
পরিচক্র |
নেই |
আছে |
ক্যাম্বিয়াম |
নেই (ভাস্কুলার বান্ডল বদ্ধ) |
আছে (তাই ভাস্কুলার বান্ডল মুক্ত) |
বিষয় |
মূল |
কাণ্ড |
বহিঃত্বকে কিউটকল |
অনুপস্থিত |
উপস্থিত |
অধঃত্বক |
অনুপস্থিত |
উপস্থিত |
পরিচক্র |
একসারি |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ডে একাধিক স্তর বিশিষ্ট |
বহিঃত্বকে রোম |
এককোষী |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ডে বহুকোষী |
জাইলেম প্রকৃতি |
এক্সার্ক (মেটা জাইলেম ভেতরে, প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে) |
এন্ডার্ক (প্রোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে, মেটাজাইলেম পরিধির দিকে) |
ক্যাম্বিয়াম |
নেই (ভাস্কুলার বান্ডল বদ্ধ) |
আছে (তাই ভাস্কুলার বান্ডল মুক্ত) |
২৭. অধিকাংশ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা বিষমপৃষ্ঠ।
একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা সাধারণত সমদ্বিপৃষ্ঠ।
২৮. বড় গহবর বিশিষ্ট জাইলেম = বসন্তকালীন কাষ্ঠ
সরু গহবর বিশিষ্ট জাইলেম = শীতকালীণ কাষ্ঠ (ব=ব, স=শ)
২৯. লেন্টিসেল পত্ররন্ধ্রের মত কাজ করে অভ্যন্তরস্থ টিস্যুতে গ্যাস পরিবহন করে।প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টা বড়। কিন্তু কিছু বেসিক অংশ থেকেই বেশি প্রশ্ন আসে, তাই সে অংশগুলোই দেওয়া হল।
অধ্যায় সারবস্তু:
ভাজক টিস্যু:
১. ভাজক টিস্যুর কোষের নিউক্লিয়াস অপেক্ষাকৃত বড় আকারের।
২. প্রাইমারি ভাজক টিস্যুর উৎস “প্রোমেরিস্টেম”।
৩. সেকেন্ডারি ভাজক টিস্যু সাধারণত ক্যাম্বিয়াব নামে পরিচিত।
স্থায়ী টিস্যু:
৪. দেহের কোমল অংশ প্যারেনকাইমা কোষে গঠিত।
৫. বিভিন্ন প্রকার প্যারেনকাইমা:
ক্লোরেনকাইমা = ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত কোষ,
এরেনকাইমা = বাতাস কুঠুরি যুক্ত কোষ
৬. কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমা কোষের প্রধান কাজ উদ্ভিদকে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করা।
৭. জাইলেম টিস্যুর কাজ মূল থেকে পাতায় পানি পরিবহণ করা, এবং ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজ পাতায় তৈরি খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করে।
৮. জাইলেম টিস্যুর অংশ হচ্ছে ট্রাকিড ও ভেসেল / ট্রাকিয়া
৯. ফ্লোয়েম টিস্যুর অংশ হচ্ছে সীভ নল ও সঙ্গী কোষ
১০. ক্ষরণকারী টিস্যু দু’প্রকার: তরুক্ষীর টিস্যু ও গ্রন্থি টিস্যু
১১. গ্রন্থি টিস্যু থেকে গঁদ, রেজিন, ট্যানিন, এনজাইম, মধু, তেল প্রভৃতি নিঃসৃত হয়ে থাকে।
১২. কোলেনকাইমার কোষপ্রাচীরে পেকটিন জমা হয়, অন্যদিকে স্ক্লেরেনকাইমার কোষপ্রাচীরে লিগনিন জমা হয়।
টিস্যুতন্ত্র:
১৩. উদ্ভিদে তিন প্রকার টিস্যুতন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়, ত্বকীয়, ভিত্তি ও পরিবহন টিস্যুতন্ত্র
১৪. রক্ষীকোষ পানি শোষণ করে স্ফীত হলে পত্ররন্ধ্র খুলে যায়। (এটা একটু আজব শোনায় যে দরজা বড় হলে দরজা খুলে যায়, কিন্তু পত্ররন্ধ্রে এই অদ্ভূত ব্যাপারটিই ঘটে)
১৫. ভিত্তি টিস্যুতন্ত্র কে “আদি টিস্যুতন্ত্র”-ও বলা হয়।
১৬. বহিঃস্টিলিয় অঞ্চল: অধঃত্বক, কর্টেক্স, অন্তঃত্বক
১৭. অন্তঃস্টিলিয় অঞ্চল: পেরিসাইকেল/পরিচক্র, মজ্জা, মজ্জারশ্মি
১৮. কেবল দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডেই মজ্জারশ্মি দেখা যায়।
১৯. কাণ্ড ও পাতায় জাইলেম ও ফ্লেয়েম টিস্যু একত্রে ভাস্কুলার বান্ডল বা পরিবহণ টিস্যুগুচ্ছ তৈরি করে, কিন্তু মূলে জাইলেম ও ফ্লোয়েম পৃথক পৃথক ব্যাসার্ধে অবস্থান করে।
২০. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কাণ্ডে জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর মাঝখানে “ক্যামবিয়াম” নামক ভাজক টিস্যু থাকে, এজন্য এই ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল কে “মুক্ত ভাস্কুলার বান্ডল” বলা হয়।
একবীজপত্রী উদ্ভিদে এমন ক্যাম্বিয়াম টিস্যু নেই, তাই এদের ভাস্কুলার বান্ডলকে “বদ্ধ ভাস্কুলার বান্ডল” বলা হয়।
২১. মূলে “অরীয় ভাস্কুলার বান্ডল” দেখতে পাওয়া যায়। জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যুর বান্ডল ভিন্ন ভিন্ন ব্যাসার্ধের উপর পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।
২২. মুক্ত সমপার্শ্বীয় বান্ডল: দ্বিবীজপত্রী ও নগ্নবীজী উদ্ভিদ
২৩. বদ্ধ সমপার্শ্বীয় বান্ডল: একবীজপত্রী
২৪. কুমড়া কাণ্ডের ভাস্কুলার বান্ডল সমদ্বিপার্শ্বীয় বান্ডল-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
২৫. কেন্দ্রিয় বান্ডল:
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক-এ জাইলেম কেন্দ্রে, ফ্লোয়েম বাইরের দিকে।
লেপ্টোসেন্ট্রিক-এ ফ্লোয়েম কেন্দ্রে, জাইলেম বাইরের দিকে।
(এভাবে মনে রাখা যেতে পারে হার্ড বান্ডল-এ জাইলেম কেন্দ্রে থাকে, কিন্তু লেপ্টে থাকা নরম বান্ডল-এ ফ্লোয়েম কেন্দ্রে থাকে)
মূল, কাণ্ড ও পাতার প্রাথমিক অন্তর্গঠন:
২৬. গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যসমূহ:
বিষয় |
একবীজপত্রী মূল |
দ্বিবীজপত্রী মূল |
ভাস্কুলার বান্ডল-এর সংখ্যা |
৬ এর বেশি |
২ থেকে ৬ টা |
মজ্জা |
বড় |
ছোট |
বিষয় |
একবীজপত্রী কাণ্ড |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ড |
কাণ্ডরোম |
অনুপস্থিত |
বহুকোষী (মূলে এককোষী) |
পরিচক্র |
নেই |
আছে |
ক্যাম্বিয়াম |
নেই (ভাস্কুলার বান্ডল বদ্ধ) |
আছে (তাই ভাস্কুলার বান্ডল মুক্ত) |
বিষয় |
মূল |
কাণ্ড |
বহিঃত্বকে কিউটকল |
অনুপস্থিত |
উপস্থিত |
অধঃত্বক |
অনুপস্থিত |
উপস্থিত |
পরিচক্র |
একসারি |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ডে একাধিক স্তর বিশিষ্ট |
বহিঃত্বকে রোম |
এককোষী |
দ্বিবীজপত্রী কাণ্ডে বহুকোষী |
জাইলেম প্রকৃতি |
এক্সার্ক (মেটা জাইলেম ভেতরে, প্রোটোজাইলেম পরিধির দিকে) |
এন্ডার্ক (প্রোটোজাইলেম কেন্দ্রের দিকে, মেটাজাইলেম পরিধির দিকে) |
ক্যাম্বিয়াম |
নেই (ভাস্কুলার বান্ডল বদ্ধ) |
আছে (তাই ভাস্কুলার বান্ডল মুক্ত) |
২৭. অধিকাংশ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা বিষমপৃষ্ঠ।
একবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা সাধারণত সমদ্বিপৃষ্ঠ।
২৮. বড় গহবর বিশিষ্ট জাইলেম = বসন্তকালীন কাষ্ঠ
সরু গহবর বিশিষ্ট জাইলেম = শীতকালীণ কাষ্ঠ (ব=ব, স=শ)
২৯. লেন্টিসেল পত্ররন্ধ্রের মত কাজ করে অভ্যন্তরস্থ টিস্যুতে গ্যাস পরিবহন করে।