প্রারম্ভিক আলোচনা:

অধ্যায়টি ছোট। কিছু জিনিস একবার জেনে নিলে ভালো।

 

অধ্যায় সারবস্তু:

১. পরাগ মাতৃকোষে মিয়োসিস ঘটে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়।

২. পরাগরেণু মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় দু’টি অসম নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে। বড়টি নালিকা নিউক্লিয়াস আর ছোটটি জনন নিউক্লিয়াস।

৩. পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণথলিতে দুই মেরু তো চারটা করে ডিপ্লয়েড কোষ থাকে, প্রতি মেরু থেকে একটি কোষ মাঝামাঝি জায়গায় এসে পরস্পর মিলিত হয়ে “সেকেন্ডারী নিউক্লিয়াস” গঠন করে।

৪. দুই মেরুতে যে তিনটি করে কোষ থাকে, এক মেরুতে ডিম্বাণু ও দু’টি সহকারী কোষ, আর অন্য মেরুতে তিনটি প্রতিপাদ কোষ থাকে।

৫. জনন নিউক্লিয়াস মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দু’টি পুংগ্যামেট তৈরি করে, একটি ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়, যাকে সিনগ্যামি বলে। আরেকটি পুংগ্যামিট সেকেন্ডারী নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়, যাকে ত্রিমিলন বলে। এই দুই জায়গায় পুংগ্যামিটের নিষেক-এর প্রক্রিয়াকে “দ্বিনিষেক” বলা হয়।

৬. নিষেকের পর:

  • ডিম্বক বীজে পরিণত হয়
  • গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়

৭. নিষেক ছাড়া ডিম্বাণু থেকে ভ্রূণ তথা নতুন জীব সৃষ্টির পদ্ধতিকে “পার্থেনোজেনেসিস” বলে। বোলতা, মৌমাছি ইত্যাদি প্রাণিদেহে এবং শৈবাল, মিউকর, ফার্ন, ইত্যাদি উদ্ভিদ দেহে এই পার্থেনোজেনেসিস পরিলক্ষিত হয়।