বিষয়াবলী
- কোম্পানি
- কোম্পানি সংগঠনের বৈশিষ্ট্য
- কোম্পানি সংগঠনের সুবিধা
- কোম্পানির প্রবর্তক
- কোম্পানি আইন
- কোম্পানির গঠন পদ্ধতি/প্রণালী
- কার্যারম্ভ পর্যায়
- উদ্যোগ গ্রহণ পর্যায়
- নিবন্ধন পর্যায়
- ন্যূনতম চাঁদা
- ন্যূনতম মূলধণ/চাঁদা সংগ্রহের কারণ
- ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহে ব্যর্থ হলে যে সব অসুবিধা হয়
- স্মারকলিপি/সংঘস্মারক/পরিমেলবন্ধ (Memorandum of Association)
- স্মারকলিপির বিষয়বস্তু বা ধারাসমূহ
- পরিমেল নিয়মাবলী/সংঘবিধি
- বিবরণপত্র
- কোম্পানি সংগঠনের শ্রেণীবিভাগ
- সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি
- সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি
- নিবন্ধিত কোম্পানি
- অনিবন্ধিত কোম্পানি
- অন্যান্য কোম্পানি
- প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি
- পাবলিক লি: কোম্পানি
- কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
- শেয়ারহোল্ডার/শেয়ারমালিক
- শেয়ার হোল্ডারের অধিকার
- পরিচালক
- পরিচালকদের যোগ্যতা
- পরিচালকের নিয়োগ পদ্ধতি
- পরিচালক হতে পারে না যে
- অন্যান্য
- কোম্পানির সভাসমূহ
- সংবিধিবদ্ধ সভা/বিধিবদ্ধ সভা
- বার্ষিক সাধারণ সভা
- বিশেষ সাধারণ সভা (Extra-Ordinary General Meeting- EGM)
- শেয়ার
- শেয়ারের প্রকারভেদ
- শেয়ার মালিকানার প্রামাণ্য দলিল
- স্টক
- ঋণপত্র
- ঋণপত্রের শ্রেণীবিভাগ
- অন্যান্য তথ্য
- কোম্পানি একটি আইন সৃষ্ট যৌথ মালিকানার ব্যবসায় সংগঠন
- এটি কৃত্তিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী হওয়ায় নিজস্ব অস্তিত্ব বিদ্যমান
- এর নিজস্ব সিলমোহর রয়েছে এবং নিজ নামেই এটি ব্যবসায়িক লেনদেন করে
- এটি চিরন্তন অস্তিত্বের অধিকারী
- এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা সম্পূর্ণ আলাদা
- অধিক মূলধন
- সীমিত দায়
চিরন্তন অস্তিত্ব - স্বাধীন স্বত্তা
- শেয়ার হস্তানরযোগ্যতা
- বৃহদায়তন ব্যবসায়ের সুবিধা
- ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থাপনা
- দক্ষতা ও পুঁজির সমন্বয়
- আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র
- যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের জন্য প্রাথমিকভাবে যে বা যারা পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে বা তাদেরকে কোম্পানির প্রবর্তক বলে।
- প্রবর্তকের প্রকারভেদ-
১. সাধারণ প্রবর্তক
২. সাময়িক প্রবর্তক
৩. পেশাদারি প্রবর্তক
- পেশাদার প্রবর্তক-এর উদাহরণ- BIDC, Managing Agent
- সারা বিশ্বে সর্বপ্রথম কোম্পানি আইন চালু হয়- ১৮৪৪ সালে
- ভারতে ১ম কোম্পানি আইন পাস করা হয়- ১৯১৩ সালে
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত আইন- ১৯৯৪ সালে - বাংলাদেশে কোম্পানির সংজ্ঞা দেয়া হয়- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২-(১-ঘ) ধারা অনুযায়ী
- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে মোট অনুচ্ছেদ বা খণ্ড আছে- ১১টি
- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে মোট তফসিল আছে- ১২টি
- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে মোট ধারা আছে- ৪০৪টি
(মনে রাখার জন্য : অনুচ্ছেদ, তফসিল, ধারা- ১১, ১২, ৪০৪)
- কোম্পানি গঠন পদ্ধতির পর্যায়-
১. উদ্যোগ গ্রহণ পর্যায়
২. নিবন্ধন পর্যায়
৩. কার্যারম্ভ পর্যায়
- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে হলে কমপক্ষে দুই (২) জন এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে কমপক্ষে সাত (৭) জনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
- নিবন্ধন পর্যায়ে প্রবর্তকগণ কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য পর্যায়ক্রমে কার্য সম্পন্ন করে-
ক) নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ ও পূরণ
খ) দলিলপত্রাদি তৈরি ও সংযুক্তি
- আবেদনপত্রের সাথে দলিলপত্র জমা দিতে হয়:
১. স্মারকলিপি ১ কপি
২. পরিমেল নিয়মাবলী ১ কপি
৩. প্রস্তাবিত কোম্পানির মোট মূলধনের পরিমাণ সম্বন্ধে প্রবর্তকদের একটি ঘোষণাপত্র
৪. পরিচালকদের নামের তালিকা এবং তাদের তৈরিকৃত ন্যূনতম যোগ্যতাসূচক শেয়ারের পরিমাণ
৫. কোম্পানির প্রস্তাবিত নাম [নামের শেষে অবশ্যই সীমিত (Limited) কথাটি লিখতে হবে] সম্বন্ধে ঘোষণাপত্র
৬. কোম্পানি আইনের ধারাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে এ মর্মে একজন আইনজীবী বা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট বা কোম্পানির যে কোন পরিচালক কর্তৃক একটি ঘোষণাপত্র
- কোম্পানির নিবন্ধক দলিলপত্রাদি যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে কোম্পানির প্রবর্তকগণকে তার দস্তখত ও সিলমোহর দিয়ে কোম্পানির ‘জন্মপত্রিকা’ নিবন্ধনপত্র (Certificate of Incorporation) প্রদান করে।
- কোম্পানির জন্মপত্রিকা বলা হয়- নিবন্ধনপত্রকে
- কোম্পানির অস্তিত্বের প্রশ্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হল- নিবন্ধনপত্র
- কোম্পানির কৃত্তিম ব্যক্তিসত্তা সৃষ্টি হয়- নিবন্ধনপত্র প্রাপ্তির পর
- নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর পরই কাজ শুরু করতে পারে- প্রাইভেট লিঃ কোম্পানি
- পাবলিক লিঃ কোম্পানিকে সংগ্রহ করতে হয়- কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র
গ) কার্যারম্ভের অনুমতি সংগ্রহ
- পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে নিবন্ধপত্র পাওয়ার পর কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Certificate of Commencement) সংগ্রহ করতে হয়
- এ পর্যায়ে প্রবর্তকগণ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিবরণীপত্র (Prospectus) তৈরি করে
- জনগণকের শেয়ার ক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে খবরের কাগজে বিবরণীপত্রটি প্রচার এবং কার্যারম্ভের অনুমতি সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলগুলো নিবন্ধকের নিকট পেশ করে
১. বিবরণীপত্রের বা বিকল্প বিবরণীপত্রের ছাপানো এক কপি
২. পরিচালকদের নাম, ঠিকানা, পদবি, পেশা ইত্যাদির পূর্ণবিবরণ
৩. পরিচালক হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক- এ মর্মে প্রত্যেক পরিচালকের লিখিত ও দস্তখতকৃত সম্মতিপত্র
৪. পরিচালকগণ ন্যূনতম যোগ্যতাসূচক শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করেছে এ মর্মে ঘোষণাপত্র
- দলিলপত্রাদি পাঠ করে নিবন্ধক সন্তুষ্ট হলে তিনি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র প্রদান করেন
৩. কার্যারম্ভ পর্যায়
- এ পর্যায়ে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাজ শুরু করে এবং প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করে
ন্যূনতম চাঁদা
ন্যূনতম মূলধণ/চাঁদা সংগ্রহের কারণ
- কোম্পানি প্রাথমিক ব্যয় ও গঠন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ
- সম্পত্তি ক্রয় বা প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ করা হলে তা পরিশোধ
- শেয়ার বিক্রয়ের জন্য দালাল বা অবলেখককে কমিশন প্রদান
- চলতি মূলধন সংগ্রহ
ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহে ব্যর্থ হলে যে সব অসুবিধা হয়
- কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না
- আবেদনের সাথে গৃহীত অর্থ ফেরত দিতে হয়
- যথাসময়ে অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে সুদসমূহ পরিশোধ করতে হয়
- কোম্পানির বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন ঘটে
- বিবরণপত্র প্রচারের পর ১৮০ দিন বা বিবরণপত্রে নির্দিষ্ট চাঁদা তালিকা বন্ধ হওয়ার তারিখের পর ৪০ দিন, এই দুটির মধ্যে যেটি পূর্বে হয় এর মধ্যে ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহে কোম্পানি ব্যর্থ হলে শেয়ারের আবেদন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আবেদনকারীর ফেরত দিতে হয়
- পরিচালকগণ পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তা ফেরত দানে ব্যর্থ হলে ব্যাংক রেটের ঊর্ধ্বে ৫% হারে (অর্থাৎ ১০% হারে) সুদসহ অর্থ ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকে
স্মারকলিপি/সংঘস্মারক/পরিমেলবন্ধ (Memorandum of Association)
এটি কোম্পানির মূল দলিল, সনদ বা সংগঠন
এতে কোম্পানির নাম, ঠিকানা, মূলধন ও ক্ষমতার সীমা উল্লেখ থাকে
এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের সাথে কোম্পানির সম্পর্ক নির্ধারিত হয়
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত উদ্দেশ্যের বাইরে কোম্পানি কোন কাজ করতে পারে না
এটি সম্পর্কে কোম্পানি আইনের ধারা ৬ ও ৯ এ বলা হয়েছে
স্মারকলিপির বিষয়বস্তু বা ধারাসমূহ
১. নামধারা : এ ধারায় কোম্পানির নাম লেখা হয়। সীমাবদ্ধ দায়সম্পন্ন কোম্পানি হবার কারণে এর নামের শেষে অবশ্যই সীমিত বা (Ltd) শব্দের উল্লেখ থাকতে হয়।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে লিমিটেড শব্দের পূর্বে (Pvt) শব্দের উল্লেখ করা যেতে পারে।
নাম গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্র আইনের ১১ ধারায় নিন্মোক্ত বাধা-নিষেধ রয়েছে-
ক) প্রচলিত কোন কোম্পানির নাম বা প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রচলিত কোন কোম্পানির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম রাখা যায় না।
খ) সরকারের লিখিত পূর্ব অনুমতি ছাড়া সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন নাম গ্রহণ করা যায় না।
গ) জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের লিখিত অনুমিত ছাড়া জাতিসংঘ বা এর কোন অঙ্গ সংস্থার সাথে সম্পর্ক রয়েছে অনুমিত হয় এমন নাম রাখা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষেত্রে এর ডাইরেক্টর জেনারেলের পূর্ব অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
২. অবস্থান ও ঠিকানা ধারা : কোম্পানির নিবন্ধিত কার্যালয় কোথায় স্থাপিত হবে বা এর প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা এ ধারায় উল্লেখ করতে হয়। এর সাথে কোম্পানি বর্তমান ও ভবিষ্যতে যে এলাকা সীমার মধ্যে তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারবে এতে তাও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
৩. উদ্দেশ্য ধারা : কোম্পানি কোন ধরনের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত থাকবে তা এ ধারায় উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে কোম্পানি যে সকল ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হতে পারবে তাও এ ধারায় উল্লেখ করা আবশ্যক।
স্মারকলিপির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল- উদ্দেশ্য ধারা
কোম্পানির কার্যক্ষমতার সীমা নির্দেশ করা হয়- উদ্দেশ্য ধারার মাধ্যম
উদ্দেশ্য ধারাকে বলা হয়- কোম্পানির কর্মপন্থার নকশা
৪. মূলধন ধারা : এ ধারায় কোম্পানির মোট মূলধনের পরিমাণ, এর জন্য শেয়ার সংখ্যা ও শেয়ার মূল্যমান কী হবে তা উল্লেখ থাকে।
৫. দায় ধারা : এ ধারায় কোম্পানির সদস্যদের দায়ের প্রকৃতি কি হবে তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সাধারণত এ দায় শেয়ারের আঙ্কিক মূল্য (Face value) দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়।
৬. সম্মতি ধারা : এ ধারায় স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীগণ এ মর্মে ঘোষণা প্রদান করে যে, তাদের নামের পাশে বর্ণিত পরিমাণ শেয়ার তারা ক্রয় করবে এবং স্মারকলিপির বর্ণনামতে তারা কোম্পানি গঠন করবে।
পরিমেল নিয়মাবলী/সংঘবিধি :
এটি কোম্পানির দ্বিতীয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল
এটি ব্যবসায় পরিচালনা সংক্রান্ত দলিল
এতে কোম্পানি পরিচালনার সকল নিয়ম অন্তর্ভূক্ত থাকে
বিবরণপত্র :
পাবলিক লিমিটেডি কোম্পানি নিবন্ধিত হবার পর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণকে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাকে কোম্পানির বিবরণপত্র বলে।
১. সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি : কোম্পানি আইন চালু হওয়ার পূর্বে (১৮৪৪ সালের পূর্বে) ইংল্যান্ডের রাজার ফরমান বলে যে সমস্ত কোম্পানি গঠিত হয়েছিল সেগুলোকে সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি বলা হয়।
১৮৪৪ সালে প্রথম কোম্পানি আইন চালু হওয়ার পর এ কোম্পানিগুলো পুনরায় কোম্পানি আইনের অধীনে নিবন্ধিত হয়।
যেমন- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, চার্টার্ড ব্যাক অব ইংল্যান্ড, দি ইমপিরিয়াল ব্যাক
২. সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি : দেশের আইনসভা বা সংসদে বিল পাস করে অথবা রাষ্ট্র প্রধানের বিশেষ আইনের দ্বারা যে সমস্ত কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাদের সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি বলে।
যেমন- WASA, BTV, RAJUK
৩. নিবন্ধিত কোম্পানি : নিবন্ধিত কোম্পানিসমূহকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
অসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানি : যে সকল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের দায় অসীম। এ ধরনের কোম্পানি পৃথিবীতে নেই।
সসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানি : যে সকল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের দায় সসীম। সসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানিসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১) প্রতিশ্রুতি মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি
২) শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি
শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি ২ প্রকার। যথা :
ক) প্রাইভেট লি: কোম্পানি
খ) পাবলিক লি: কোম্পানি
৪. অনিবন্ধিত কোম্পানি : কোম্পানি আইনের ৩৭১ ধারা অনুযায়ী অনিবন্ধিত কোম্পানি হল ৭ সদস্যদের অধিক সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো অংশীদারী ব্যবসায় বা সমিতি যা কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত নয়।
৫. অন্যান্য কোম্পানি :
বিদ্যমান কোম্পানি : ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন প্রচলিত হবার পূর্বে বিদ্যমান কোম্পানি আইনের আওতায় কোন কোম্পানি গঠিত, নিবন্ধিত ও বর্তমানে চালু থাকলে তাকে বলা হয় বিদ্যমান কোম্পানি।
বিদেশি কোম্পানি : দেশের বাইরে গঠিত ও নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি যদি পুনরায় দেশীয় আইনের আওতায় নিবন্ধিত হয়ে কাজ পরিচালনা করে তাকে বলা হয় বিদেশি কোম্পানি। যেমন- ALICO Ltd
অব্যবসায়ী বা লাভবিহীন কোম্পানি : দায় সীমাবদ্ধ হলেও নামের শেষে লিমিটেড বা প্রাইভেট লি: ব্যবহার করা হয় না। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য বিবর্জিত কোম্পানি বা লাভবিহীন কোম্পানি গঠিত হয় বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, দাতব্য বা অন্য কোনো উপযোগিতামূলক উদ্দেশ্যে।
বিশেষ কোম্পানি : যে সকল কোম্পানি দেশের প্রচলিত কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত হলেও অন্য কোন বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে বিশেষ কোম্পানি বলে।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি
প্রাইভেট লি: কোম্পানির সদস্য সংখ্যা- সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন
প্রাইভেট লি: কোম্পানির নামের শেষে- প্রাইভেট (Pvt.) কথাটি লিখতে হয়
প্রাইভেট লি: কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিচালক- ২ জন
হোল্ডিং কোম্পানির আওতাধীন প্রাইভেট লি: কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিচালক- ৩ জন
প্রাইভেট লি: কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরযোগ্য নয়
প্রাইভেট লি: কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাতে পারে না
প্রাইভেট লি: কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই-
বিবরণপত্র প্রচার
ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহ
বিধিবদ্ধ সভা আহ্বান
কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ এবং
সদস্য তালিকা সংরক্ষণ
পাবলিক লি: কোম্পানি
পাবলিক লি: কোম্পানির সদস্য সংখ্যা- সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার স্ংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ
পাবলিক লি: কোম্পানির নামের শেষে- পাবলিক কথাটি লিখতে হয় না
পাবলিক লি: কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য
পাবলিক লি: কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাতে পারে
মালিকানার ভিত্তিতে পাবলিক লি: কোম্পানি ২ প্রকার। যথা :
ক) সরকারি কোম্পানি : যদি কোনো কোম্পানির শতকরা ৫০% এরচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিকানা থাকে সরকারি খাতে তাকে সরকারি কোম্পানি বলা হয়। যেমন- সোনালী ব্যাংক (১০০% সরকারি), অগ্রণী ব্যাংক (সরকারি ১০০%)
খ)বেসরকারি কোম্পানি : যদি কোনো কোম্পানির শতকরা ৫০% এরচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিকানা থাকে বেসরকারি খাতে তাকে বলা হয় বেসরকারি কোম্পানি।
নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে পাবলিক লি: কোম্পানি ২ প্রকার। যথা :
ক) হোল্ডিং কোম্পানি :
কোন কো্ম্পানি যদি অন্য কোন কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি শেয়ারের মালিক হয় অথবা
কোন কোম্পানি যদি অন্য কোন কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হয় অথবা
কোন কোম্পানি যদি অন্ কোন কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী হয়
সেই কোম্পানিকে হোল্ডিং কোম্পানি বলে।
হোল্ডিং কোম্পানি মূলত এক ধরনের- ব্যবসায় জোট
খ) সাবসিডিয়ারি কোম্পানি :
যে কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি শেয়ার মালিকানা চলে যায় অন্য কোন কোম্পানির কাছে অথবা
যে কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি ভোটদান ক্ষমতা চলে যায় অন্য কোন কোম্পানির কাছে অথবা
যে কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা চলে যায় অন্য কোন কোম্পানির কাছে
তাকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
আইনের নির্দিষ্ট বিধান অনুযায়ী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কার্য পরিচালিত হয়
কোম্পানি কৃত্তিম ব্যক্তিসত্তা হিসেবে এর মালিকানা পৃথক করা হয়েছে
নিম্নলিখিত যে কোনো উপায়ে যে কোনো সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কোম্পানির সদস্য বা শেয়ার হোল্ডার হতে পারে-
১. কোম্পানির নিকট হতে তার সাধারণ শেয়ার ক্রয় করে, অথবা
২. অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হতে কোম্পানির সাধারণ শেয়ার ক্রয় করে, অথবা
৩. কোম্পানির সংঘস্মারকে স্বাক্ষর প্রদান করে, অথবা
৪. মৃত শেয়ারহোল্ডারের উত্তরাধিকারী হলে, অথবা
৫. পরিচালক যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শেয়ার ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে
নিম্নলিখিত যে কোনো কারণে কোম্পানির যে কোনো সদস্য তার সদস্যপদ হারিয়ে থাকে-
১. কোনো সদস্য তার শেয়ারের মালিকানা অপরের নিকট হস্তান্তর করে দিলে
২. সদস্যের মৃত্যু হলে
৩. সদস্য দেউলিয়া ঘোষিত হলে
৪. পরিচালক পর্ষদ কোনো সদস্যের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে দিলে
৫. কোনো সদস্য তার শেয়ার কোম্পানির নিকট সমর্পণ করে দিলে
৬. অনিয়মিত শেয়ার আবণ্টন বা প্রসপেক্টাস মিথ্যা বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার অপরাধে কোনো সদস্য তার সদস্যপদ বর্জন করলে
৭. কোম্পানির অবসায়ন বা বিলুপ্তি ঘটলে
শেয়ার হোল্ডারের অধিকার
১. শেয়ার হোল্ডার হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেয়ার প্রমাণপত্র পাওয়া
২. স্মারকলিপি ও পরিমেল নিয়মাবলী এক কপি করে পাওয়া
৩. বার্ষিক হিসাবের খাতা পরীক্ষা করা
৪. বার্ষিক লভ্যাংশ পাওয়া
৫. শেয়ার হস্তান্তর করা
৬. সভা-সমিতিতে যোগদান করা
৭. নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোট দান করা
৮. সভার কার্যবিবরণী পাওয়া
পরিচালক
পরিচালকদের যোগ্যতা
১. কোম্পানির শেয়ার মালিক হলে
২. ন্যূনতম শেয়ার ক্রয় করলে
৩. সুস্থ এবং সবল হলে
৪. আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলে
৫. বিকৃত মস্তিষ্ক বা পাগল না হলে
৬. ঋণ পরিশোধে সক্ষম হলে, ইত্যাদি
পরিচালকের নিয়োগ পদ্ধতি
১. প্রবর্তকদের দ্বারা
২. শেয়ার মালিকগণ কর্তৃক
৩. পরিচালক পর্ষদ দ্বারা
৪. ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি কর্তৃক
৫. সরকার কর্তৃক
পরিচালক হতে পারে না যে-
১. শেয়ার মালিক নয়
২. (২ মাসের মধ্যে) যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয় করে না
৩. কমপক্ষে ৬ মাস সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি
৪. পাগল বা বিকৃত মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যক্তি
৫. আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি
৬. যে কোন পতিষ্ঠান বা সংঘ
৭. নাবালক ব্যক্তি
অন্যান্য
শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষে কোম্পানির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হল- পরিচালকগণ
পরিচালকমণ্ডলীর কর্মক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করে- সংঘবিধি/পরিমেল নিয়মাবলী
কোম্পানি পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে- সাধারণ শেয়ার মালিকগণ
কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে- পরিচালক পর্ষদের উপর
পরিচালক পর্ষদ কোম্পানি পরিচালনা করে- শেয়ার মালিকদের পক্ষে
পরিচালক হবার জন্য নিবন্ধককে জানাতে হবে- নির্বাচনের ৪৫ দিন পূর্বে
যোগ্যতাসূচক শেয়ার অবশ্যই ক্রয় করতে হবে- পরিচালক নিযুক্তির ৬০ দিনের (২ মাসের) মধ্যে
ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি কর্তৃক পরিচালক নিয়োগ হতে পারে মোট পরিচালকের সর্বোচ্চ- এক তৃতীয়াংশ (১/৩ অংশ)
ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি নিয়োগ করা যায় এককালীন অনূর্ধ্ব- ১০ বছরের জন্য
ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধির সর্বোচ্চ নিয়োগকাল- ২০ বছর
ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা যায় সর্বোচ্চ- ৫০ বছরের জন্য
প্রতি বছর পরিচালকদের বাধ্যতামূলকভাবে অবসর গ্রহণ করতে হয়- মোট পরিচালকদের এক তৃতীয়াংশ
কোম্পানির সভাসমূহ
কোম্পানির সভা প্রধানত ২ প্রকার। যথা :
১. পরিচালক পরিষদের সভা
২. কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সভা
কোম্পানির সদস্যদের/শেয়ারহোল্ডারদের সভা ৩ প্রকার। যথা :
১. সংবিধিবদ্ধ সভা
২. বার্ষিক সাধারণ সভা
৩. জরুরি সাধারণ সভা
সংবিধিবদ্ধ সভা/বিধিবদ্ধ সভা
সংবিধিবদ্ধ সভা প্রত্যেক কোম্পানির জীবনে একবার আহ্বান করা বাধ্যতামূলক
সংবিধিবদ্ধ সভা আহ্বান করতে হয় কোম্পানি গঠনের ৩০ দিন পর থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে
সংবিধিবদ্ধ সভা আহ্বানের ক্ষেত্রে নোটিস দিতে হয়- ২১ দিন (৩ সপ্তাহ) পূর্বে
সংবিধিবদ্ধ সভা আহ্বানে ব্যর্থ হলে- কোম্পানির বিলোপ সাধন ঘটবে
কোম্পানি গঠনের কত দিনের মধ্যে বিধিবদ্ধ সভা আহ্বান করতে হয় তার উল্লেখ আছে- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ৮৩(১) ধারায়
বার্ষিক সাধারণ সভা
নব-গঠিত কোম্পানিকে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করতে হয়- নিবন্ধিত হওয়ার তারিখ হতে ১৮ মাসের মধ্যে
বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বানের ক্ষেত্রে নোটিস দিতে হয়- ১৪ দিন (২ সপ্তাহ) পূর্বে
কোম্পানির ২টি বার্ষিক সভার মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান- ১৫ মাসের বেশি হবে না
বিশেষ সাধারণ সভা (Extra-Ordinary General Meeting- EGM)
বিশেষ বা জরুরি পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য আহ্বান করা হয়- বিশেষ বা জরুরি সভা
বিশেষ বা জরুরি সভার ক্ষেত্রে নোটিস দিতে হয়- ২১ দিন (৩ সপ্তাহ) পূর্বে
জরুরি সভা আহ্বান করার জন্য শেয়ার মালিকদের সমর্থন প্রয়োজন- ১/১০ অংশের
শেয়ার
কোম্পানির শেয়ার মূলধনের ক্ষুদ্র অংশ বিশেষ
শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতা কোম্পানির উপর আংশিক মালিকানা স্বত্ব পেয়ে থাকে
যিনি শেয়ার ক্রয় করেন তাকে বলা হয় শেয়ারহোল্ডার
শেয়ার বিক্রয় হতে সংগৃহীত অর্থকে বলা হয় শেয়ার মূলধন
শেয়ার ক্রয়ের ফলে ক্রেতার কোম্পানির উপর কিছু চুক্তিগত অধিকারের জন্ম হয়
শেয়ারের প্রকারভেদ
১. সাধারণ শেয়ার : কোম্পানি আইন অনুযায়ী যে শেয়ার মালিকদের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য কোম্পানিতে অধিক থাকে অথচ সাধারণ ভিত্তিতে লভ্যাংশ ভোগ করে এবং মূলধন ফেরত পায় তাকে সাধারণ শেয়ার বলে।
কোম্পানি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম শেয়ার হচ্ছে- সাধারণ শেয়ার
২. অগ্রাধিকার শেয়ার : আইন অনুযায়ী যে শেয়ার মালিকগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ ভোগ করে এবং মূলধন ফেরত পায় তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার : যে শেয়ারের মালিকগণ প্রতি বছর মুনাফা হতে একটি নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায় এবং কোন বছর মুনাফা না হলেও ঐ বছরের কোন লভ্যাংশ সঞ্চিতি আকারে পরবর্তীতে পায় তাকে সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার/সঞ্চিতি শেয়ার বলে।
অ-সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার : যে শেয়ারের মালিকগণ মুনাফা হতে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায় কিন্তু মুনাফা না হলে ঐ বছরের কোন লভ্যাংশ সঞ্চিতি আকারে পরবর্তীতে পায় না তাকে অ-সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
পার্টিসিপেটিং অগ্রাধিকার শেয়ার : যে অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিকগণ মুনাফা হতে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ প্রাপ্ত হলেও পরবর্তীতে সাধারণ শেয়ার মালিকদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টনের সময় পুনরায় তাতে অংশ পায় তাকে পার্টিসিপেটিং অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
নন-পার্টিসিপেটিং অগ্রাধিকার শেয়ার : যে অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিকগণ মুনাফা হতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায় কিন্তু পরবর্তীতে সাধারণ শেয়ার মালিকদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টনের সময় পুনরায় তাতে অংশ পায় না তাকে নন-পার্টিসিপেটিং অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার : যে অগ্রাধিকার শেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট সময়ান্তে পরিশোধ করে কোম্পানি শেয়ার ফেরত নিতে পারে তাকে পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার : যে অগ্রাধিকার শেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট সময়ান্তে পরিশোধ করে কোম্পানি শেয়ার ফেরত নিতে পারে না তাকে অপরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার : শেয়ার বিক্রয়ের শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ান্তে যে অগ্রাধিকার শেয়ারকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ দেয়া হয় তাকে পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
অপরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার : যে অগ্রাধিকার শেয়ারকে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা যায় না তাকে অপরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার বলে।
কম ঝুঁকির বিনিয়োগকারী এবং বিশেষ বিনিয়োগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বোত্তম শেয়ার হচ্ছে- অগ্রাধিকার শেয়ার
অগ্রাধিকার শেয়ার- ঋণ ও মালিকানা (ইক্যুইটি)-এর মিশ্রণ
অগ্রাধিকার শেয়ারকে বলা হয়- হাইব্রিড শেয়ার
৩. বিলম্বিত শেয়ার : যে শেয়ারের মালিকগণ অগ্রাধিকার ও সাধারণ শেয়ার মালিকদের লভ্যাংশ বণ্টন এবং মূলধন ফেরত দেয়ার পর অবশিষ্ট লভ্যাংশ ও মূলধন পায় তাদেরকে বিলম্বিত বা প্রবর্তকের শেয়ার বলে।
৪. অধিবৃত্তি শেয়ার : কোম্পানির সঞ্চিতি তহবিলে (Reserve Fund) প্রচুর পরিমাণ অর্থ জমা হলে পরিচালকগণ উক্ত তহবিলের একটি নির্দিষ্ট অংশ সাধারণ সভার সিদ্ধান্তক্রমে অতিরিক্ত শেয়ার হিসেবে পুরাতন শেয়ারমালিকদের মধ্যে বণ্টন করে যা অধিবৃত্তি শেয়ার (Bonus share) নামে পরিচিত।
৫. অধিকারযোগ্য শেয়ার : কোন কোম্পানি অধিকতর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নতুন শেয়ার বিলির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্রয়ের অধিকার আনুপাতিক হারে পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সংরক্ষণ করলে তাকে অধিকারযোগ্য শেয়ার বলে।
৬. অনাঙ্কিক মূল্যের শেয়ার : কোম্পানির নিবন্ধনপত্রে যে শেয়ারের শেয়ার প্রতি মূল্য নির্দিষ্ট করে লেখা থাকে না তাকে অনাঙ্কিক মূল্যের শেয়ার (No-per Value share) বলে।
এ ধরনের শেয়ার বাংলাদেশে দেখা যায় না।
শেয়ার মালিকানার প্রামাণ্য দলিল
১. শেয়ার সার্টিফিকেট (Share Certificate) : শেয়ার মালিকানার মুখ্য প্রামাণ্য দলিল হল শেয়ার সার্টিফিকেট। শেয়ার বণ্টনের ৩ মাস এবং শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ২ মাসের মধ্যে শেয়ার গ্রহীতাকে এরূপ সার্টিফিকেট প্রদান করতে হয়।
২. শেয়ার ওয়ারেন্ট : পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শেয়ারের পূর্ণমূল্য এর গ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধ করা হলে, প্রমাণ হিসেবে কোম্পানি শেয়ার গ্রহীতাকে যে প্রামাণ্য দলিল প্রদান করে তাকে শেয়ার ওয়ারেন্ট বলে।
৩. কাঁচা সনদ : শেয়ার সার্টিফিকেট ইস্যু করার পূর্বে শেয়ারের মূল্য প্রদানকারীকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য যে প্রমাণপত্র দেয়া হয় তাকে কাঁচা সনদ বলে।
৪. ক্ষতিপূরণ পত্র : শেয়ার সার্টিফিকেট হারানো গেলে তার প্রতিলিপি লাভের জন্য শেয়ারমালিক যে লিখিত প্রতিশ্রুতিপত্রে স্বাক্ষর করে তাকে ক্ষতিপূরণপত্র বলে।
৫. লভ্যাংশ পরোয়ানা : লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক হতে সংগ্রহের জন্য কোম্পানি শেয়ারমালিকদের যে প্রমাণপত্র প্রদান করে তাকে লভ্যাংশ পরোয়ানা বলে।
স্টক
শেয়ারের পূর্ণমূল্য আদায় হলে শেয়ারকে স্টকে পরিণত করা যায়।
ঋণপত্র
পাবলিক লি: কোম্পানি যে ঋণ স্বীকৃতিপত্র ইস্যু করে জনগণ বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ঋণ সংগ্রহ করে তাকে ঋণপত্র বলে।
ঋণপত্রের শ্রেণীবিভাগ
১. সাধারণ ঋণপত্র : কোম্পানি ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে তার কোন নির্দিষ্ট বা যাবতীয় সম্পত্তি বন্ধক না রেখে যে ঋণপত্র বিক্রয় করে তাকে সাধারণ ঋণপত্র বলে।
২. বন্ধকী ঋণপত্র : কোম্পানি ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে তার কোন নির্দিষ্ট বা যাবতীয় সম্পত্তি বন্ধক রেখে যে ঋণপত্র বিক্রয় করে তাকে বন্ধকী ঋণপত্র বলে।
৩. পরিশোধযোগ্য ঋণপত্র : যে ঋণপত্রের আসল অর্থ নির্দিষ্ট সময় পরে পরিশোধের মাধ্যমে কোম্পানি ঋণপত্র ফেরত পাবে তাকে পরিশোধযোগ্য ঋণপত্র বলে।
৪. অপরিশোধযোগ্য ঋণপত্র : যে ঋণপত্রের আসল অর্থ কোম্পানি পরিশোধে বাধ্য থাকে না তাকে পরিশোধযোগ্য ঋণপত্র বলে।
৫. নিবন্ধিত ঋণপত্র : যে ঋণপত্রের ক্রেতার নাম, ঠিকানা, ঋণপত্রের ক্রমিক নং ইত্যাদি কোম্পানি বইতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে নিবন্ধিত ঋণপত্র বলে।
৬. অনিবন্ধিত ঋণপত্র : যে ঋণপত্রের ক্রেতার নাম, ঠিকানা, ঋণপত্রের ক্রমিক নং ইত্যাদি কোম্পানি বইতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না তাকে অনিবন্ধিত ঋণপত্র বলে।
৭. পরিবর্তনযোগ্য ঋণপত্র : যে ঋণপত্র নির্দিষ্ট সময় পরে ফেরত দিযে কোম্পানি তার বিপক্ষে শেয়ার ইস্যু করে, তাকে পরিবর্তনযোগ্য ঋণপত্র বলে।
৮. অপরিবর্তনযোগ্য ঋণপত্র : যে ঋণপত্র ফেরত দিযে কোম্পানি তার বিপক্ষে শেয়ার ইস্যু করে না, তাকে অপরিবর্তনযোগ্য ঋণপত্র বলে।
সর্বপ্রথম সংগঠনের উদ্ভব ঘটে- ইংল্যান্ডে
বিশ্বের প্রথম কোম্পানি- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০০ সালে)
সারা বিশ্বে সর্বপ্রথম কোম্পানি আইন চালু হয়- ১৮৪৪ সালে
ভারতে প্রথম কোম্পানি আইন পাস হয়- ১৯১৩ সালে
যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিকে বলা হয়- Corporation
ফ্রান্সে কোম্পানিকে বলা হয়- Society Anonyme
বর্তমান বাংলাদেশে কোম্পানির সংজ্ঞা দেওয়া হয়- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ২-(১-ঘ) ধারা অনুযায়ী
কোম্পানির কৃ্ত্তিম ব্যক্তিসত্তা বলতে বোঝায়- নিজ নামে চুক্তি, লেনদেন ও মোকদ্দমা করার ক্ষমতা
কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে বোঝায়- শেয়ারহোল্ডারদের মৃত্যু, দেউলিয়াত্ব বা শেয়ার হস্তান্তরে কোম্পানির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে না
কোম্পানির আইন সম্মত বিধিবদ্ধ দায়িত্ব হচ্ছে- খাতাপত্র সংরক্ষণ, হিসাব তৈরি, হিসাব নিরীক্ষণ, সভা আহ্বান ইত্যাদি
কোম্পানির প্রতিনিধির বৈধতা প্রমাণ করে- সাধারণ সিলমোহর
কোম্পানির বাৎসরিক মুনাফার যে অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বণ্টন করা হয় তাকে বলে- Dividend বা লভ্যাংশ
লভ্যাংশের হার স্থির করতে হয়- পরিশোধিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে
কোম্পানির হিসাব বছর সমাপ্তির পূর্বে পরিচালকমণ্ডলী শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে যে লভ্যাংশ বণ্টন করে তাকে বলা যায়- অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ
কোম্পানির কর হার :
তালিকাভুক্ত কোম্পানি ২৭.৫%
অতালিকাভুক্ত কোম্পানি ৩৭.৫%
তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৩৫%
অতালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি ৪৫%
Corporate Tax (বাংলাদেশে) ৪২.৫%
কোম্পানির মূলধনের সবচেয়ে বড়/মূল উৎস- শেয়ার ইস্যু
বাংলাদেশে শেয়ার ইস্যুর পূর্বে অনুমতি নিতে হয়- সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের
পাবলিক লি: কোম্পানি পরিমেল নিয়মাবলীর বিকল্প- টেবিল ‘এ’ মেনে চলতে পারে
ঋণপত্রকে ভাগ করা হয়- ৮ ভাগে
বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়- বর্তমান শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে
কোম্পানির বিলোপ সাধনের পদ্ধতিসমূহ হল-
ঐচ্ছিক বা স্বতঃপ্রণোদিত বিলোপ সাধন
আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক বিলোপ সাধন
আদালতের তত্ত্বাধানে বিলোপ সাধন
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তিত নাম :
পুরাতন নাম |
পরিবর্তিত নাম |
BTTB |
BTCL (Bangladesh Telecommunications Company Ltd.) |
DESA |
DPDC (Dhaka Power Distribution Company Ltd.) |
লিভার ব্রাদার্স লি: |
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি: |
Bangladesh Shilpa Bank |
Bangladesh Development Bank Ltd. (BDBL) |
বাংলাদেশ বিমান কর্পোরেশন |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি: |