প্রারম্ভিক আলোচনা:
এই অধ্যায়টি কলেজে তেমন গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয় না। তাই প্রশ্নও তেমন আসে না। ডিএনএ-এর অংশটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই অধ্যায়ের সাথে রসায়নের সম্পর্ক আছে।
অধ্যায় সারবস্তু:
১. বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেটের উদাহরণ:
- মনোস্যাকারাইড: ৩ থেকে ১০ টি কার্বন অণু
- টেট্রোজ সুগার : ইরিথ্রোজ
- পেন্টোজ সুগার : রাইবোজ, রাইবুলোজ, ডিঅক্সিরাইবোজ
- হেক্সোজ সুগার : গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, ম্যানোজ, গ্যালাক্টোজ
- ডাইস্যাকারাইড : সুক্রোজ (চিনি), মল্টোজ
- ট্রাইস্যাকারাইড : র্যাফিনোজ
- পলিস্যাকারাইড : স্টার্চ, সেলুলোজ, গ্লাইকোজেন
২. গ্লাইকোজেনকে প্রাণিজ স্টার্চ বলা হয়। স্টার্চ হল উদ্ভিদের জমানো খাদ্য যা গ্লুকোজের পলিমার। গ্লাইকোজেন তেমনি গ্লুকোজের পলিকার যা প্রাণির দেহে সঞ্চিত খাদ্য রূপে জমা থাকে।
৩. সেলুলোজে ß-D গ্লুকোজ পলিমার, এর ফলে শক্ত। স্টার্চ হল α-D গ্লুকোজ পলিমার।
৪. সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের লিপিড কঠিন অবস্থায় থাকে, এদের চর্বি বলে। সম্পৃক্ত হওয়ায় বলতে বোঝায় অণুতে কোন কার্বন কার্বন দ্বিবন্ধনী, ত্রিবন্ধনী না থাকা।
৫. অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের লিপিড তরল অবস্থায় থাকে, এদের তেল বলে। এদের অণূতে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধনী, ত্রিবন্ধনী বিদ্যমান।
৬. স্টেরয়েড, মোম, রাবার ইত্যাদি এক প্রকার লিপিড।
৭. শর্করা অপেক্ষা লিপিডে বেশি পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত থাকে।
৮. প্রোটিন গঠনকারী অ্যামিনো এসিডের সংখ্যা হল ২০।
৯. প্রোটিনে একটা অ্যামিনো এসিডের সাথে আরেকটা অ্যামিনো এসিড পেপটাইড বন্ধনী দ্বারা যুক্ত।
১০. নাইট্রোজেন ক্ষারক, পেন্টোজ সুগার (রাইবোজ বা ডিঅক্সিরাইবোজ) ও ফসফোরিক এসিড নিয়ে নিউক্লিক এসিড গঠিত।
১১. নাইট্রোজেন গঠিত বেস দু’প্রকার, পিউরিন ও পাইরিমিডিন:
পিউরিন = অ্যাডেনিন, গুয়ানিন
পাইরিমিডিন = থাইমিন, সাইটোসিন, ইউরাসিল
(A=T/U, G=C) (“এটি জিসি” এই টার্ম মনে রাখা যেতে পারে)
১২. ১৯৫৩ সালে ওয়াটসন ও ক্রীক DNA-এর ডাবল হেলিক্স মডেল প্রদান করেন।
১৩. পিউরিন ও পাইরিমিডিন বেসের মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ড থাকে। অ্যাডেনিন-থাইমিন-এর ক্ষেত্রে দুইটি হাইড্রোজেন বন্ড এবং গুয়ানিন=সাইটোসিন-এর ক্ষেত্রে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে সংযুক্ত থাকে।
১৪. সুত্রক দু’টি পরস্পর সমান্তরাল কিন্তু বিপরীতমুখী। একটি ৫’ -> ৩’ এবং আরেকটি ৩’ -> ৫’ কার্বনমুখী অবস্থানে থাকে।
১৫. DNA তে যেখানে থাইমিন থাকে, RNA তে সেই জায়গায় ইউরাসিল থাকে।
১৬. DNA দ্বিসূত্রক, RNA একসূত্রক।
১৭. পাঁচ প্রকারের RNA পাওয়া যায়, mRNA, tRNA, rRNA, gRNA, minor RNA। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম তিনটি। m, t, r ।
১৮. RNA একসূত্রক বলে এদের কোন অনুলিপন হয় না।
১৯. এনজাইমের কার্যকারিতা 35°-40°C তাপমাত্রায় সবচেয়ে বেশি।
২০. এনজাইমের জন্য কার্যকরী pH এর মান 5.0 – 9.0