কুইজ
বিষয়াবলী
 

অংশীদারি ব্যবসায়
বাংলাদেশে প্রচলিত অংশীদারি আইন- ১৯৩২ সালের
অংশীদারি ব্যবসায়ের নামের শুরুতে ‘মেসার্স’ শব্দ যোগ করা- বাধ্যতামূলক
অংশীদারি ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করাকে বলা হয়- Frozen Investment
Contract of Utmost Good Faith বলা হয়- অংশীদারি ব্যবসায়কে
সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা হল- সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বোচ্চ ২০ জন
ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য সংখ্যা হল- সর্বনিম্ন ২ জন ও সর্বোচ্চ ১০ জন
অংশীদারি ব্যবসায়ের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা সম্পর্কে উল্লেখ আছে- ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ৪ ধারায়

 

অংশীদারি চুক্তি
অংশীদারি ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি- চুক্তি
চুক্তি ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায়- সম্ভব নয়
চুক্তিপত্র ছাড়া অংশীদারি ব্যবসায়- সম্ভব
লিখিত চুক্তিকে বলা হয়- Deed বা চুক্তিপত্র
চুক্তিপত্রের অবর্তমানে কার্যকর নয়- অংশীদারি আইন
‘অংশীদারি সম্পর্ক চুক্তির মাধ্যমে জন্ম লাভ করে, সামাজিক মর্যাদা বলে নয়’ উল্লেখ আছে- অংশীদারি আইনের ৫ ধারায়

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের প্রকারভেদ

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের প্রকারভেদ

 

১/ সাধারণ অংশীদারি ব্যবসায় :
ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় সম্পর্কে বলা আছে- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের- ৭ ধারায়
ঐচ্ছিক অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হতে পারে- ৩ ভাবে
ক. অনির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যবসায় গঠিত হলে বা,
খ. নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের পরও ব্যবসায় চালু থাকলে বা,
গ. নির্দিষ্ট সময়ের পরও ব্যবসায় চালু থাকলে।
নির্দিষ্ট অংশীদারি ব্যবসায় সম্পর্কে বলা আছে- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৮ ধারায়
নির্দিষ্ট অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত হতে পারে- ২ ভাবে
ক. নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যবসায় গঠিত হলে (যেমন, ৫ বছরের জন্য) বা,
খ. নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবসায় গঠিত হলে

 

২/ সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের আদি ভূমি- ইংল্যান্ড
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় বাংলাদেশে- নেই
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় গঠিত ও পরিচালিত হয়- ১৯০৭ সালের ভারতীয় সীমিত অংশীদারি আইন এবং ১৮৯০ সালের ইংল্যান্ডের অংশীদারি আইন দ্বারা
সীমিত অংশীদারি কারবারের নামের শেষে সীমিত বা ‘Ltd’ কথাটি লেখা বাধ্যতামূলক
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩ জন অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ করা যায়

 

অংশীদারি চুক্তিপত্রের বিষয়বস্তু
১. অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম
২. ব্যবসায়ের ঠিকানা
৩. ব্যবসায়ের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও আওতা
৪. ব্যবসায়ের কার্যক্রম বিস্তৃতির বর্তমান ও সম্ভাব্য এলাকা
৫. ব্যবসায়ের অস্তিত্ব
৬. অংশীদারদের মোট মূলধনের পরিমাণ
৭. ব্যবসায়ের মোট মূলধনের পরিমাণ
৮. অংশীদারদের প্রত্যেকের প্রদত্ত পুঁজির পরিমাণ ও তা পরিশোধ পদ্ধতি
৯. মূলধনের উপর সুদ দেয়া হবে কি না, হলে কি হারে
১০. অংশীদারগণ ব্যবসায় হতে কোন অর্থ উত্তোলন করতে পারবে কিনা, পারলে কত বা কি হারে
১১. উত্তোলিত অর্থের উপর সুদ ধরা হবে কিনা, হলে কি হারে
১২. ব্যবসায়ের লাভ লোকসান বণ্টন পদ্ধতি ও হার
১৩. ব্যবসায়ের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
১৪. ব্যবসায়ের হিসাবরক্ষণ ও হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি
১৫. ব্যবসায়ের বিলোপসাধন পদ্ধতি

 

অংশীদার

 

অংশীদারদের প্রকারভেদ
১. সাধারণ অংশীদার
২. সীমিত অংশীদার
৩. নামমাত্র অংশীদার
৪. নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত অংশীদার
৫. আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদার
৬. কর্মী অংশীদার
৭. আচরণ দ্বারা অনুমিত অংশীদার
৮. প্রতিবন্ধ অংশীদার

 

 

 

এক নজরে বিভিন্ন ধরনের অংশীদারদের বৈশিষ্ট্য :

 

বৈশিষ্ট্য

সাধারণ অংশীদার

সীমিত অংশীদার

নামমাত্র অংশীদার

নিষ্ক্রিয় অংশীদার

আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদার

কর্মী অংশীদার

মূলধন বিনিয়োগ

নগদে

নগদে

সুনাম দেয়

নগদে

অবসরের পর মূলধন নেওয়া না হলে

শ্রম দেয়

পরিচালনা

সক্রিয়

সক্রিয় নয়

নিষ্ক্রিয়

সক্রিয় নয়

অংশ নিতে পারে না

অংশ নেয়

লাভ-ক্ষতি বণ্টন

সক্রিয়

সক্রিয়

সক্রিয়

সক্রিয়

সুদ পায়

সক্রিয়

দায়

অসীম

সীমিত

ঋণ গ্রহণ করলে দায় বর্তায়

অসীম

বিজ্ঞপ্তি না দিলে দায় বর্তায়

অসীম

৭. আচরণে অনুমিত অংশীদার : অংশীদার না হয়েও অংশীদার হিসেবে আচরণের মাধ্যমে/ মৌখিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান

 

৮. প্রতিবন্ধ অংশীদার : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তিকে অংশীদার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং ব্যক্তি মৌনতা প্রকাশ করে

সাংকেতিকভাবে, সাধারণ অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + পরিচালনায় অংশগ্রহণ + লভ্যাংশ গ্রহণ + দায় বহন (অসীম)
সীমিত অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + মুনাফায় অংশগ্রহণ – পরিচালনা
নামমাত্র অংশীদার = সুনাম প্রদান + মুনাফায় অংশগ্রহণ – পরিচালনা – মূলধন বিনিয়োগ – দায় গ্রহণ
নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + লভ্যাংশ গ্রহণ + দায় গ্রহণ (অসীম) – পরিচালনা
আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদার = ব্যবসায় ঋণ প্রদান + সুদ গ্রহণ – মূলধন বিনিয়োগ
আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদারগণ অংশীদার নয়, তারা পাওনাদার

 

অংশীদার হবার অযোগ্য :
১. নাবালক
২. পাগল
৩. দেউলিয়া ব্যক্তি
৪. অজ্ঞান ব্যক্তি
৫. সরকারি কর্মচারি
৬. রাষ্ট্রীয় বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি (রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিবর্গ, ইত্যাদি)
৭. প্রতিষ্ঠান বা সংঘ
৮. মানসিক প্রতিবন্ধী
৯. বিদেশি রাষ্ট্রদূত
১০. বিদেশি শত্রু ও দেশদ্রোহী

 

অংশীদার বলে গণ্য করা যাবে না :
১. যারা অংশীদারদের প্রদত্ত ঋণের সুদের পরিবর্তে ব্যবসায় হতে লাভের অংশ গ্রহণ করে
২. যে কর্মচারিগণ পারিশ্রমিক হিসেবে লাভের অংশ গ্রহণ করে
৩. কোন মৃত অংশীদারের বিধবা পত্নী বা শিশুপুত্র যদি লাভ অনুসারে বার্ষিক বৃত্তি (Annuity) গ্রহণ করে
৪. ব্যবসায়ের প্রাক্তন মালিক বা অংশীদার যদি তার সুনাম (Goodwill) বিক্রয় বাবদ লাভ গ্রহণ করে

একটি কোম্পানি অন্য অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে
একটি ফার্মের অংশীদার অন্য ফার্মের অংশীদার হতে পারে না
কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মালিক অন্য কোন ফার্মের অংশীদার হতে পারে

 

অংশীদারদের ক্ষমতা :
১. সকল অংশীদারদের পক্ষে যে কেউ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারে
২. ক্ষমতা প্রাপ্ত যে কেউ ব্যবসায়ের নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারে
৩. ব্যবসায়ের সাধারণ বেচাকেনা বা বন্ধক রাখার ক্ষমতা ও প্রত্যেক অংশীদারগণের আছে
৪. যে কোন অংশীদার ব্যবসায়ের নামে ঋণ গ্রহণ করতে পারে
৫. অংশীদারগণ ৩য় পক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে

 

অংশীদারদের অধিকার :
১. ব্যবসায় পরিচালনায় (সীমিত অংশীদার ছাড়া) অংশগ্রহণের অধিকার আছে
২. অংশ অনুযায়ী মুনাফা ভোগ করার অধিকার আছে
৩. ব্যবসায়ের সকল প্রকার দলিল দস্তাবেজ ও হিসাবপত্র দেখার বা পরীক্ষা করার অধিকার আছে
৪. ফার্মের সকল বিষয়ে মত প্রকাশ করার অধিকার আছে
৫. কোন অংশীদার ফার্মে ঋণ দিলে তার উপর সুদ পাওয়ার অধিকার আছে

 

অংশীদারদের অবসর গ্রহণ :
যে কোন অংশীদার যে কোন সময় ইচ্ছা করলে অন্যান্য অংশীদারদের সম্মতিক্রমে উপযুক্ত বিজ্ঞপ্তির দ্বারা ফার্ম হতে বিদায় নিতে পারে
অংশীদার অবসর গ্রহণ করতে চাইলে অন্যান্য অংশীদারদের জানাতে হয়- কমপক্ষে ৯০ দিন পূর্বে

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন
অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন সম্পর্কে বলা হয়েছে- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৫৮ ধারায়
অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন বলতে বোঝায়- চুক্তিপত্রের নিবন্ধন
লিখিত ও নিবন্ধিত চুক্তিপত্রকে আদালত- প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে
অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধনের জন্য দরখাস্থ জমা দিতে হয়- সরকার নিযুক্ত নিবন্ধকের অফিসে
সাধারণ ও ব্যাংকিং অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন- বাধ্যতামূলক নয়
সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন- বাধ্যতামূলক
অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধনের জন্য স্ট্যাম্প লাগাতে হয়- কমপক্ষে ২৫০ টাকার
অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধিত বিষয়বস্তুর পরিবর্তনের পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে- অংশীদারি আইনের ৬০ ও ৬১ ধারায়

 

অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধন না করার ফলাফল
১. ৩য় পক্ষের বিরুদ্ধে ১০০ টাকার বেশি পাওনা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা করতে পারবে না
২. উক্ত প্রতিষ্ঠান বা এর অংশীদার ৩য় পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তিজনিত অধিকার আদায়ের জন্য মামলা করতে পারবে না
৩. ৩য় পক্ষ প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলা করলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা তার অংশীদার ৩য় পক্ষের বিরুদ্ধে দাবী আদায়ের জন্য মামলা করতে পারবে না

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের নিবন্ধন না করার পরিণাম বা ফলাফল সম্পর্কে বলা হয়েছে- অংশীদারি আইনের ৬৯ ধারায়
নিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের কর প্রদান করতে হয়- ব্যবসায়ের আয়ের উপর
অংশীদারদের কর প্রদান করতে হয়- ব্যবসায় হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর
অনিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও- অংশীদারদের কর প্রদান করতে হয়
অংশীদারি ব্যবসায় নিবন্ধিত হলেও এর কোনো আইনগত সত্তার সৃষ্টি হয় না

 

নাবালক অংশীদার
নাবালক অংশীদার সম্পর্কে বলা আছে- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩০ ধারায়

 

নাবালক সম্পর্কিত আইন-
নাবালক চুক্তি করতে পারবে না [১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ১১ ধারা]
নাবালক অংশীদার হতে পারে তবে তার জন্য সে তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়ী থাকবে না [১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩০(১) ধারা]
নাবালক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হস্তান্তর করতে পারে তবে তার জন্য সে দায়ী থাকবে না [১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ২৬ (১) ধারা]

 

নাবালকের অধিকার-
নাবালক তার জন্য চুক্তিতে নির্ধারিত হার অনুসারে ব্যবসায় হতে মুনাফা পাবার অধিকারী
নাবালক প্রতিষ্ঠানের হিসাব দেখা ও এর যে কোন অংশের নকল গ্রহণ করতে পারে
মুনাফা ও সম্পত্তির অংশ আদায়ের জন্য প্রতিনিধির মাধ্যমে অন্যান্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে
সাবালকত্ব প্রা্প্তির ৬ মাস/ ১৮০ দিনের মধ্যে নাবালক পূর্ণ অংশীদার হতে পারে বা সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে

 

অংশীদার হিসেবে নাবালকের কর্তব্য-
নাবালক অংশীদার ব্যবসায়ে রক্ষিত তার মূলধন ও মুনাফা পর্যন্ত দায় বহনে বাধ্য থাকে
প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে নাবালকের অংশমত সম্পত্তি সরকারি তত্ত্বাবধায়কের হাতে ন্যস্ত হতে পারে
এরূপ অংশীদার সাবালকত্ব প্রাপ্তির পর ব্যবসায়ের অংশীদার হলে সুবিধা ভোগের তারিখ হতে ব্যবসায়ের সকল দেনার জন্য অন্য অংশীদারদের ন্যায় তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়ী হয়
ব্যবসায়ের খাতা ও হিসাবপত্র দেখা ছাড়া পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে চাওয়া এরূপ অংশীদারের উচিত নয়
এরূপ অংশীদার সাবালকত্ব প্রাপ্তির পর ব্যবসায়ে অংশীদার না হয়ে যদি আচরণের দ্বারা ব্যবসায়ের অংশীদার বলে পরিচয় দেয় তবে তাকে সেক্ষেত্রে দায়ী করা যায়

 

সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়

 

সীমিত অংশীদারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য
কমপক্ষে ২ জন সাধারণ অংশীদার ও ১ জন সীমিত অংশীদার থাকবে
এরূপ ব্যবসায়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক
সীমিত অংশীদার ব্যবসায়ের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না
সীমিত অংশীদারগণ ব্যবসায় বিলু্প্তির জন্য আবেদন বো নোটিশ জারি করতে পারে না
সীমিত অংশীদারের মৃত্যু বা মস্তিষ্ক বিকৃতি বা দেউলিয়া হলে ব্যবসায়ের বিলুপ্তি ঘটে না
সীমিত অংশীদারগণ ব্যবসায় সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ৩য় পক্ষের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে না
সীমিত অংশীদার ব্যবসায় থেকে তার প্রদত্ত পুঁজির অংশ বা কোন অগ্রিম গ্রহণ করতে পারে না

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন :
অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন সম্পর্কে বলা আছে- ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩৯ ধারায়
অংশীদারী বিলোপ সাধন ৫ ভাবে হতে পারে-
১. সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে (ধারা- ৪০)
২. বাধ্যতামূলক বিলোপ সাধন (ধারা- ৪১)
৩. বিশেষ ঘটনা ঘটার ফলে (ধারা- ৪২)
৪. বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বিলোপ সাধন (ধারা- ৪৩)
৫. আদালতের নির্দেশে বিলোপ সাধন (ধারা- ৪৪)
[মনে রাখার বিশেষ কৌশল- সকলে বাধ্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি আদালতে
৪০   ৪১  ৪২   ৪৩    ৪৪]

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন :

 

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন

 

অন্যান্য তথ্য :

অংশীদারগণ তাদের মালিকানা অবাধে হস্তান্তর করতে পারে না
সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে মালিকানা হস্তান্তর করা যায়
অংশীদারি দলিলে উল্লেখ না থাকলে অংশীদারি ব্যবসায়ের লাভ ক্ষতি বণ্টিত হবে- সমহারে
অংশীদারি দলিলে উল্লেখ না থাকলে অংশীদারগণ উত্তোলনের উপর- সুদ দিবে না
অংশীদারি দলিলে উল্লেখ না থাকলে অংশীদারগণ ফার্মকে প্রদত্ত ঋণের উপর- ৬% সুদ পাবে