বিষয়াবলী
- ব্যবসায় অর্থসংস্থান
- ব্যবসায় অর্থসংস্থান
- শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি/ নিয়মাবলী
- শেয়ার বাজারের প্রকারভেদ
- বাংলাদেশের শেয়ার বাজার
- ঢাকা DSE (Dhaka Stock Exchange)
- চট্টগ্রাম CSE (Chittagong Stock Exchange)
- সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন
- সরাসরি তালিকাভুক্তির শর্তসমূহ
- শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরিসমূহ
- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টক এক্সচেঞ্জসমূহ
- ব্যবসায়ে পুঁজি সংস্থানকে বলা হয়- অর্থসংস্থান
- ব্যবসায়ে সাধারণত- ৩ ধরনের অর্থসংস্থান করা হয়। যথা :
১. স্বল্পমেয়াদী অর্থসংস্থান (১ বছর বা তারচেয়ে কম সময়ের জন্য)
২. মধ্যমেয়াদী অর্থসংস্থান (১ বছর হতে ৫ বছর সময়ের জন্য)
৩. দীর্ঘমেয়াদী অর্থসংস্থান (৫ বছর হতে অধিক সময়ের জন্য)
- ব্যবসায়ে দীর্ঘমেয়াদী অর্থসংস্থানের উৎসসমূহ হল
অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস
|
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস |
|
|
• ব্যবসায়ের স্বল্পমেয়াদী অর্থসংস্থানের উৎস হল :
অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস
|
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস |
|
|
শেয়ার বাজার
- ব্যবসায়ের পুঁজির অন্যতম প্রধান উৎস- শেয়ার বাজার
- শেয়ার বাজারকে বলা হয়- Mirror of National Economy (জাতীয় অর্থনীতির দর্পণ)
- একটি দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিসত্মার করে- শেয়ার বাজার
- পৃথিবীর সকল দেশেই সহজ, লাভজনক ও কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ ক্ষেত্র- শেয়ার বাজার
- শেয়ার বাজারে- শুধু পাবলিক লিঃ কোম্পানির শেয়ার, ঋণপত্র ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় করা হয়
- বিশ্বে প্রথম শেয়ার বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়- লন্ডনের Sweeting Alley -তে ১৭৭৩ সালে
- ডলারের হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের New York Stock Exchange (NYSE) যা Wall Street শেয়ার বাজার নামে পরিচিত
- নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ-এর ডাক নাম- বিগ বোর্ড
- যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার কেনাবেচার বৃহত্তম বাজার হল- ন্যাসডাক (NASDAQ)
শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের পদ্ধতি/ নিয়মাবলী
- শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে- ৪টি পদ্ধতিতে
১. কলওভার পদ্ধতি
২. ট্রেডিং পোস্ট পদ্ধতি
৩. জবিং পদ্ধতি
৪. অটোমেশন পদ্ধতি
- নির্দিষ্ট সিকিউরিটি ক্রয়ে ও বিক্রয়ে ইচ্ছুক সদস্যগণ দর কষাকষির মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন- কলওভার পদ্ধতিকে
- ফ্লোরকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে লেনদেন সম্পন্ন হয়- ট্রেডিং পোস্ট পদ্ধতিতে
- ব্রোকার (Broker) ও জবারদের (Jobber) মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হয়- জবিং পদ্ধতিতে
- স্টক মার্কেটে বিশেষ সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে- জবার
- সিকিউরিটি ক্রয়-বিক্রয় করে কমিশন পায়- ব্রোকার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ শেয়ার লেনদেন করা হয়- অটোমেশন পদ্ধতিতে
- শেয়ার বাজারে শেয়ার ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় করার পদ্ধতিকে বলা হয়- CDS (Central Depository System)
- শেয়ার বাজার- ২ ভাগে বিভক্ত। যথা :
- প্রাথমিক শেয়ার বাজার (Primary Market- IPO)
- মাধ্যমিক শেয়ার বাজার (Secondary Market- Stock Exchange)
- যে বাজারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ারসমূহ বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রয় করা হয় তাকে বলা হয়- প্রাথমিক শেয়ার বাজার (Primary Market)
- যে বাজারের মাধ্যমে কোম্পানির পূর্বে ইস্যুকৃত শেয়ার বা সিকিউরিটিগুলো ক্রয়-বিক্র করা হয় তাকে বলা হয়- মাধ্যমিক শেয়ার বাজার (Secondary Market)
- (Primary Market)- নুতন Security ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট
- (Secondary Market)- পুরাতন Security ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট
- প্রাথমিক বাজারে ২ ধরনের শেয়ার ইস্যু করতে দেখা যায়। যথা :
- IPO- Initial Public Offering
- Seasoned New Issue
- কোনো কোম্পানি শেয়ারসমূহ বিনিয়োগকারীদের নিকট বিক্রয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়- অবলেখক বা Underwriter
বাংলাদেশে শেয়ার বাজার ২টি। যথা :
ঢাকা DSE (Dhaka Stock Exchange)
- প্রতিষ্ঠিত : ১৯৫৪ সালে (East Pakistan Stock Exchange Ltd নামে)
- কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৫৬
- ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল : ১২ সদস্যবিশিষ্ট
- বর্তমান প্রেসিডেন্ট :
- ভাইস প্রেসিডেন্ট :
চট্টগ্রাম CSE (Chittagong Stock Exchange)
- প্রতিষ্ঠিত : ১৯৯৫
- কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৯৫
- ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল : ২৪ সদস্যবিশিষ্ট
- বর্তমান চেয়রম্যান :
সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন
- SEC (Securities & Exchange Commission)
প্রতিষ্ঠিত : ১৯৯৩
কার্যক্রম শুরম্ন : ১৯৯৩
বর্তমান চেয়ারম্যান :
- শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রয় করতে চাইলে- SEC এর অনুমোদন বাধ্যতামূলক
- নতুন কোম্পানিকে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হলে- SEC এর অনুমোদন নিতে হয়
- বাংলাদেশে প্রচলিত Securities & Exchange Commission আইন- ১৯৯৩ সালের
- বাংলাদেশে Securities & Exchange Commission গঠিত হয়- ১৯৯৩ সালে( SEC আইনের আওতায়)
- বাংলাদেশে প্রচলিত Securities & Exchange Commission অধ্যাদেশ- ১৯৬৯ সালে
- পূর্বে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করত- কন্ট্রোলার অব দি ক্যাপিটাল ইস্যু
- কন্ট্রোলার অব দি ক্যাপিটাল ইস্যু গঠিত হয়- ১৯৪৭ সালে
- বেসরকারি কোম্পানিসমূহ পুঁজি বাজারে অমত্মর্ভূক্ত করার জন্য পুঁজি বাজার উন্নয়ন কমিটি গঠন করেছে- DSE
সরাসরি তালিকাভুক্তির শর্তসমূহ :
- কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা
- কোম্পানি কমপক্ষে ৫ বছর ব্যবসায়ের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
- কোম্পানি কমপক্ষে ৩ বছর মুনাফা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
- কোম্পানিকে ন্যূনতম ‘BBB’ Rating প্রাপ্ত হতে হবে।
- কোম্পানির পুঞ্জীভূত ক্ষতি গ্রহণযোগ্য নয়
- কোম্পানিকে ১০ হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে
- তালিকাভুক্তির ৩০ দিনের মধ্যে ১০% শেয়ার বিক্রি করতে হবে
- ১ম বছরে সর্বোচ্চ ৫০% শেয়ার বিক্রি করা যাবে
শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরিসমূহ :
ক্যাটাগরি |
বৈশিষ্ট্য |
A |
লভ্যাংশ ১০ ভাগের উপর এবং নিয়মিত |
B |
লভ্যাংশ ১০ ভাগের নিচে কিন্তু নিয়মিত |
G |
(শেয়ার ছাড়ার আগে যে কোম্পানিগুলো বাজারে আসে) |
Z |
অনিয়মিত, লভ্যাংশ প্রদান না করা, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিক মূলধনকে ছাড়িয়ে যায়, উৎপাদনে ব্যর্থ |
N |
শেয়ার বাজারে আসার পর প্রথম ১ বছর কোম্পানিগুলো যে শ্রেণীতে থাকে |
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টক এক্সচেঞ্জসমূহ :
দেশের নাম |
স্টক এক্সচেঞ্জের নাম |
USA |
NYSE, Federal Reserve Board, NASDAQ |
UK |
FSV, London Stock Exchange- Mirror |
Europe (Regional) |
EASDAQ- Mirror, Eurex (Euro Exchange) |
France |
Bourse de Paris |
Pakistan |
Islamabad Stock Exchange (Gurantee) |
India |
Interconnected Stock Exchange of India |
Brazil |
B M & F Borespa |
Canada |
Toronto Stock Exchange |
Germany |
Borso Frankfurt |