বাংলাদেশ- একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি- এককেন্দ্রীক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন- সংবিধান
দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ- শাসন বিভাগ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ভাগ- ১১টি
সংবিধানে অনুচ্ছেদ আছে- ১৫৩টি
সংবিধানে ভাগ- ১১টি, অনুচ্ছেদ- ১৫৩টি
সংবিধানে তফসিল আছে- ৪টি
সংবিধানে মূলনীতি আছে- ৪টি
সংবিধানের রূপকার- ড. কামাল হোসেন
সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য- ৩৪ জন(প্রধান ছিলেন- ড. কামাল হোসেন)
সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য- বেগম রাজিয়া বানু
বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি করা হয়- ভারত ও বৃটেনের সংবিধানের আলোকে
বাংলাদেশের সংবিধান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন- ড. কামাল হোসেন
সংবিধান সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয়- ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর
সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়- ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর
সংবিধান কার্যকর হয়- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
সংবিধান দিবস- ৪ নভেম্বর
হস্তলিখিত লিখিত সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন
সংবিধান- ২ প্রকার; লিখিত সংবিধান ও অলিখিত সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধান- লিখিত সংবিধান
লিখিত সংবিধান নেই- বৃটেন, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও সৌদি আরব
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান- ভারতের; আর ছোট- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী- ১৪ বছরের নিচের শিশুদের শ্রমে নিয়োগ করা যাবে না
সংবিধান সংশোধন
মোট সংবিধান সংশোধন- ১৪ বার
বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ পরে- ১৯৭৮ সালে
বাংলাদেশের সংবিধানে আবার ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ সংযোজন হয়- ২০১১ সালে
‘বাঙালি’-র বদলে ‘বাংলাদেশি’ জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করা হয়- ১৯৭৬ সালে
সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহিম’ গৃহীত হয়- ১৯৭৭ সালে
ইনডেমনিটি বিল/অধ্যাদেশ জারি হয়- ১৯৭৫ সালে
ইনডেমনিটি বিল/অধ্যাদেশ বাতিল হয়- ১৯৯৬ সালে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস হয়- ১৯৯৬ সালে
জরুরি অবস্থা জারির বিধান- ২য় সংশোধনী
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়- ৮ম সংশোধনী
সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন করা হয়- ১২শ সংশোধনী
সংবিধান সংশোধনের জন্য- ২/৩ ভোটের প্রয়োজন
এক নজরে সংশোধনীগুলো :
সংশোধনী |
সাল |
বিষয়বস্তু |
প্রথম সংশোধনী |
১৯৭৩ |
যুদ্ধাপরাধী ও গণবিরোধীদের বিচার |
দ্বিতীয় সংশোধনী |
১৯৭৩ |
জরুরি অবস্থা |
তৃতীয় সংশোধনী |
১৯৭৪ |
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি; তিনবিঘা করিডোরের বিনিময়ে ভারতের কাছে বেড়ুবাড়ী হস্তান্তর |
চতুর্থ সংশোধনী |
১৯৭৫ |
বাকশাল (সংসদীয় শাসনপদ্ধতির বদলে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি) |
পঞ্চম সংশোধনী |
১৯৭৯ |
তৎকালীন অবৈধ সামরিক সরকারের কাজে বৈধতা দান |
ষষ্ঠ সংশোধনী |
১৯৮১ |
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঢাকার বাইরে ৬টি জেলায় হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ Dacca স্থলে Dhaka এবং Bangali স্থলে Bangla বানান প্রচলন |
সপ্তম সংশোধনী |
২৯৮৬ |
|
অষ্টম সংশোধনী |
১৯৮৮ |
|
নবম সংশোধনী |
১৯৮৯ |
|
দশম সংশোধনী |
১৯৯০ |
|
একাদশ সংশোধনী |
১৯৯১ |
|
দ্বাদশ সংশোধনী |
১৯৯১ |
সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন |
ত্রয়োদশ সংশোধনী |
১৯৯৬ |
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তন |
চতুর্দশ সংশোধনী |
২০০৪ |
|
পঞ্চদশ সংশোধনী |
পঞ্চদশ সংশোধনী
উত্থাপনকারী- ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ (বর্তমান আইন প্রতিমন্ত্রী)
সংসদে গৃহীত- ৩০ জুন, ২০১১
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বাক্ষর- ৩ জুলাই, ২০১১
সংশোধনীসমূহ
- ৭২-র সংবিধানের চার মূলনীতি পুনর্বহাল (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা)
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ
- রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন
- অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি
- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল, অন্যান্য ধর্মের সমমর্যাদা
- আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বহাল
- শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন
- জাতির পিতা, ৭ মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র যুক্তকরণ
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর স্বীকৃতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সুযোগের সমতা
- সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি (বর্তমানে- ৫০টি; পূর্বে ছিল- ৪৫টি)
- মৌলিক বিধান সংশোধন-অযোগ্য
- জরুরি অবস্থার মেয়াদ নির্দিষ্টকরণ
- দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীরা নির্বাচনে অযোগ্য
গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ
২.খ |
রাষ্ট্রধর্ম |
৩ |
রাষ্ট্রভাষা |
৬ |
বাংলাদেশি নাগরিকত্ব |
১০ |
জাতীয় জীবনে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণ |
১১ |
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার |
১২ |
বিলুপ্ত (ধর্মনিরপেক্ষতা) (আরেকটা বিলুপ্ত- ৯২ক) |
১৭ |
অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা |
২২ |
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ |
২৭ |
আইনের দৃষ্টিতে সাম্য |
২৮(২) |
নারী ও পুরুষের সমানাধিকার |
৩৯(১) |
চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা |
৩৯(২)ক |
বাকস্বাধীনতা ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা |
৩৯(২)খ |
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা |
৭৭ |
ন্যায়পাল নিয়োগ |
১৪১ক |
জরুরি অবস্থা ঘোষণা |
সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স- ৩৫ বছর
সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স- ২৫ বছর
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য ও স্পিকার হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স- ২৫ বছর
এক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারেন- ২ বার/মেয়াদকাল
রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেন- স্পিকারের কাছে
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন- রাষ্ট্রপতির কাছে
জাতীয় সংসদের/আইনসভার প্রধান/সভাপতি- স্পিকার
সংসদীয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী- রাষ্ট্রপতি
প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক/প্রধান- রাষ্ট্রপতি
সংসদ অধিবেশন আহ্বান, ভঙ্গ ও স্থগিত করেন- রাষ্ট্রপতি
প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়বদ্ধ- রাষ্ট্রপতির কাছে
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে- ২/৩ অংশ ভোট দরকার
সংসদের বিভিন্ন সময়সীমা
সংসদ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়
সংসদের দুই অধিবেশনের মধ্যবর্তী সময় সর্বোচ্চ- ৬০ দিন
সংসদ অধিবেশনের কোরাম- ৬০ জন
স্পিকারের অনুমতি ছাড়া সংসদে অনুপস্থিত থাকা যায়- ৯০ দিন
(স্পিকারের অনুমতি ছাড়া ৯০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়)
সংসদ ভেঙে গেলে বা মেয়াদে শেষ হয়ে গেলে নির্বাচন দিতে হয়- ৯০ দিনের মধ্যে
সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত- সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ- ২টি (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ)
সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিয়েছে- হাইকোর্টকে
প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
প্রথম প্রধান বিচারপতি- এ এস এম সায়েম
বর্তমান প্রধান বিচারপতি- এ বি এম খায়রুল হক
নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি
প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার- বিচারপতি এম ইদ্রিস
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার- ডঃ এ টি এম শামসুল হুদা