গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সংজ্ঞা
- যৌগের যেকোনো মৌলের শতকরা পরিমাণ = $\frac{যৌগের মৌলটির সংখ্যা* মৌলটির পারমাণবিক ভর*100}{যৌগটির আণবিক ভর}$
= যৌগের মৌলটির সংখ্যা* মৌলটির পারমাণবিক ভর*100 / যৌগটির আণবিক ভর
- $1 \mathrm{amn}=1.66056 \times 10^{-24} \mathrm{~g}$
- স্থূল সংকেত যৌগের অণুতে বিদ্যমান বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সংখ্যার ক্ষুদ্রতম অনুপাত প্রকাশ করে
- আণবিক সংকেত = $n×$ স্থূল সংকেত
- অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যা, $\mathrm{N}=6.023 \times 10^{23}$
- মোল ভগ্নাংশ : দ্রবণের কোনো উপাদানের মোল সংখ্যা ও দ্রবণে বিদ্যমান সব উপাদানের মোল সংখ্যার যোগফলের অনুপাতকে সে উপাদানের মোল ভগ্নাংশ বলা হয়।
- স্থূল সংকেত : কোনো যৌগের অণুতে কোন কোন মৌল আছে এবং সে সব মৌলের পরমাণুসমূহের সংখ্যা কি ক্ষুদ্রতম পূর্ণসংখ্যার অনুপাতে আছে, তার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে ঐ যৌগের স্থূল সংকেত বলে
- আণবিক সংকেত : কোনো যৌগের অণুতে কোন কোন মৌল আছে এবং প্রতিটি মৌলের পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা কত তার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে ঐ যৌগের আণবিক সংকেত বলে
- মোল : কোনো যৌগের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় সে পরিমাণকে তার এক মোল বলে
- গ্রাম পারমাণবিক ভর : কোনো মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায়, সে পরিমাণকে তার এক গ্রাম-পারমাণবিক ভর বলা হয়; আধুনিক নিয়মে একেও এক মোল পরমাণু বলা হয়
- অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা : কোনো বস্তুর এক মোল পরিমাণে যত সংখ্যক অণু থাকে, সেই সংখ্যাকে অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা বলে। একে দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর মান হচ্ছে 6.023×1023
- মোলার দ্রবণ : কোনো দ্রবণের প্রতি লিটারে দ্রব দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে
- মোলারিটি দ্রবণ : কোনো দ্রবণের প্রতি লিটারে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে ঐ দ্রবণের মোলারিটি বলে
- মোলালিটি : প্রতি দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলালিটি বলে
- টাইট্রেশন বা অনুমাপন : উপযুক্ত নির্দেশকের উপস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট আয়তনের কোনো পরীক্ষাধীন দ্রবণের সাথে একটি প্রমাণ দ্রবণের মাত্রিক বিক্রিয়া সংঘটিত করে প্রমাণ দ্রবণের তুল্য আয়তন নির্ণয়ের মাধ্যমে পরীক্ষাধীন দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয়ের পদ্ধতিকে টাইট্রেশন বা অনুমাপন বলে
- দ্রবণের মোলারিটি এবং নরমালিটি তাপমাত্রা দ্বারা প্রভাবিত হয় কিন্তু মোলারিটি ক্ষেত্রে তাপমাত্রার কোনো প্রভাব নেই
- অম্ল ক্ষারক প্রশমন বিক্রিয়ায় সমান আয়তনে এক ক্ষারকীয় অম্লের 1.0 মোলার ও এক অম্লীয় ক্ষারকের 1.0 মোলার দ্রবণ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়
প্রাইমারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ
১. বিশুদ্ধ অবস্থায় নির্দিষ্ট সংযুক্তিতে পাওয়া যায়
২. নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায়
৩. পানিত্যাগী, পানিগ্রাহী ও পানিগ্রাসী নয়
৪. দ্রবণের মাত্রা অনেকদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে
৫. বায়ুর জলীয় বাষ্প ও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না
উদাহরণ- অনার্দ্র সোডিয়াম কার্বনেট (Na2CO3), K2Cr2O7, আর্দ্র অক্সালিক এসিড (H7C7O4.2H2O), সোডিয়াম অক্সালেট, সাকসিনিক এসিড
সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ
১. এদের বিশুদ্ধ অবস্থায় ও নির্দিষ্ট সংযুক্তিতে পাওয়া যায় না
২. কোনটি পানিগ্রাহী বা পানিত্যাগী
৩. গ্যাস শোষণ করে
৪. জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়
৫. রাসায়নিক নিক্তিতে সঠিক ওজন নিয়ে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা সম্ভব নয়
৬. এদের দ্রবণের মাত্রা পরিবর্তিত হয়
উদাহরণ- H2SO4, NaOH, KOH, Na2S2O3, KMnO4, HCl
অ্যাভোগ্যাড্রো সংখ্যা ও মোলার আয়তনের গুরুত্ব
1 মোল অণু = 1 গ্রাম আণবিক ভর = 22.4 dm3 (N.T.P তে) = 6.023×1023 টি অণু
1 টি অণুর ভর = (গ্রাম আণবিক ভর / 6.023×1023 ) gm = $\frac{গ্রাম আণবিক ভর}{6.023 \times 10^{23}}$ gm
1 গ্রাম গ্যাসে অণুর সংখ্যা = (6.023×1023 / গ্রাম আণবিক ভর) টি = $\frac{6.023 \times 10^{23}}{গ্রাম আণবিক ভর}$ টি
1 গ্রাম গ্যাসের N.T.Pতে আয়তন = (22.4 / গ্রাম আণবিক ভর) dm3 = $\frac{22.4}{গ্রাম আণবিক ভর}$ dm3
1 টি অণুর N.T.Pতে আয়তন = $\frac{22.4}{6.023 \times 10^{23}} \mathrm{dm}^{3}$
N.T.Pতে dm3 গ্যাসের অণুর সংখ্যা = $\frac{6.023 \times 10^{23}}{22.4}$ টি
মৌলের একটি পরমাণুর ভর = (গ্রাম আণবিক ভর / 6.023×1023 ) gm = $\frac{গ্রাম আণবিক ভর}{6.023 \times 10^{23}}$
ঘনমাত্রার মান অনুসারে দ্রবণের বিভিন্ন নাম হয়। যেমন-
1 dm3 দ্রবণে দ্রবীভূত |
||
দ্রবের পরিমাণ (মোল) |
দ্রবণের ঘনমাত্রা |
দ্রবণের নাম |
1.0 |
1.0M |
মোলার দ্রবণ |
0.5 |
0.5M বা M/2 |
সেমি মোলার দ্রবণ |
0.1 |
0.1M বা M/10 |
ডেসি মোলার দ্রবণ |
0.01 |
0.01 বা M/100 |
সেন্টি মোলার দ্রবণ |
মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র
aMBVB = bMAVA
VA = এসিডের আয়তন
MA = এসিডের মোলারিটি
VB = ক্ষারের আয়তন
MB = ক্ষারের মোলারিটি
b = ক্ষারের সহগ
a = এসিডের সহগ
যখন এসিড ও ক্ষার উল্লেখ থাকবে না বা যেকোনো একটি উল্লেখ থাকবে, তখন সূত্রটি হবে-
V1S1 = V2S2
- প্রশমন বিক্রিয়ায় এসিড ও ক্ষারের সমতুল্য পরিমাণে বিক্রিয়া করে
- 5% NaOH দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ
- শক্তিশালী এসিড ও শক্তিশালী ক্ষারের টাইট্রেশন যেকোনো নির্দেশক ব্যবহার করা যায়
- শক্তিশালী এসিড ও দুর্বল ক্ষারের টাইট্রেশনে মিথাইল অরেঞ্জ উত্তম নির্দেশক
- দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী ক্ষারের টাইট্রেশনে উত্তম নির্দেশক ফেনলফথ্যালিন
- প্রমাণ দ্রবণকে যে অজ্ঞাত ঘনমাত্রার দ্রবণের মধ্যে যোগ করা হয় তাকে ট্রাইট্রেট বলে
- রক্ত একটি বাফার দ্রবণ এবং এটিতে মূল বাফার HCO3 । এছাড়াও PO43- ব্যবহৃত হয়
কিছু মৌলের পারমাণবিক ভর (গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য পারমাণবিক ভর ।অবশ্যই মুখস্ত রাখতে হবে)
মৌল |
পারমাণবিক ভর |
|
হাইড্রোজেন |
1H |
1 |
কার্বন |
6C |
12 |
নাইট্রোজেন |
7N |
14 |
অক্সিজেন |
8O |
16 |
ফ্লোরিন |
9F |
19 |
সোডিয়াম |
11Na |
23 |
ম্যাগনেসিয়াম |
12Mg |
24 |
অ্যালুমিনিয়াম |
13Al |
27 |
সিলিকন |
14Si |
28 |
ফসফরাস |
15P |
31 |
সালফার |
16S |
32 |
ক্লোরিন |
17Cl |
35.5 |
পটাশিয়াম |
19K |
39.1 |
ক্যালসিয়াম |
20Ca |
40 |
ক্রোমিয়াম |
24Cr |
52 |
ম্যাঙ্গানিজ |
25Mn |
55 |
আয়রন |
26Fe |
55.85 |
নিকেল |
28Ni |
58.69 |
কপার |
29Cu |
63.5 |
জিংক |
30Zn |
65.38 |
সিলভার |
47Ag |
107.88 |
মার্কারি |
80Hg |
200 |
গোল্ড |
79Au |
197 |
কিছু প্রয়োজনীয় সূত্র
এসিডের তুল্য ভর = এসিডের আণবিক ভর / প্রতিস্থাপিত H2 এর সংখ্যা
ক্ষারের তুল্য ভর = ক্ষারের আণবিক ভর / OH এর সংখ্যা
লবণের তুল্য ভর = লবণের আণবিক ভর (এক যোজী ধাতুরক্ষেত্রে) / ধাতুর সংখ্যা
প্রতি লিটার দ্রবের গ্রাম হিসেবে ভর = নরমালিটি × দ্রবের তুল্য ভর
$1 \mathrm{~cm}^{3}=1 \mathrm{ml}=1$
$1000 \mathrm{~cm}^{3}=1 \mathrm{dm}^{3}=1 \mathrm{~L}$
$1000 \mathrm{dm}^{3}=1 \mathrm{~m}^{3}$
সংখ্যা বিষয়ক কিছু তথ্য
$40 \mathrm{~cm}^{3}(\mathrm{M} / 2) \mathrm{H}_{2} \mathrm{SO}_{4} \equiv 20 \mathrm{~cm}^{3} 1(\mathrm{M}) \mathrm{H}_{2} \mathrm{SO}_{4}$
$35 \mathrm{~cm}^{3} 2(\mathrm{M}) \mathrm{H}_{2} \mathrm{SO}_{4} \equiv 70 \mathrm{~cm}^{3} 1(\mathrm{M}) \mathrm{H}_{2} \mathrm{SO}_{4}$
$60 \mathrm{~cm}^{3}(\mathrm{M} / 10) \mathrm{NaOH} \equiv 6 \mathrm{~cm}^{3} 1(\mathrm{M}) \mathrm{NaOH}$
$700 \mathrm{ml} 0.7(\mathrm{M}) \mathrm{HCl} \equiv 490 \mathrm{ml} 1(\mathrm{M}) \mathrm{HCl}$
Note : এই অধ্যায় থেকে সাধারণত গাণিতিক সমস্যা বেশি আসে, এই জন্য গাণিতিক সমস্যাগুলোর সাথে সাথে সংখ্যা বিষয়ক তথ্যগুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে । এছাড়া প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।