বিষয়াবলী

অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান
যে সকল প্রতিষ্ঠান কোনরূপ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে লিপ্ত না থেকে সমাজের কল্যাণকর কাজে লিপ্ত থেকে বিভিন্ন প্রকার আর্থিক কার্যক্রম সম্পাদন করে তাদেরকে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বলে।
 
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান-এর বৈশিষ্ট্য

মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে না।
সদস্যদের কল্যাণ সাধনের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
পণ্য উৎপাদন বা ক্রয়-বিক্রয় কাজে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান লিপ্ত থাকে না।
সদস্যদের চাঁদা, ভর্তি ফি, সমাজের মহৎ ব্যক্তিদের দান, সরকারি অনুদানের মাধ্যমে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আয় অর্জিত হয়।
ব্যয় অতিরিক্ত আয় সদস্যদের মাঝে বণ্টিত হয় না।
ব্যয় অতিরিক্ত আয়ের উপর আয়কর দিতে হয় না।
আয় জনকল্যাণ ও সমাজ সেবামূলক কাজে ব্যয় হয়।

 
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান-এর হিসাব ব্যবস্থা
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের যদিও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে না, এর পরেও কিছু হিসাব ও বিবরণী সংরক্ষণ করতে হয়। যথাঃ
১. প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব।  
২. আয় ব্যয় হিসাব। 
৩. উদ্বৃত্তপত্র।
 
প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে সকল নগদ লেনদেন সম্পাদন করে থাকে, সেই সব লেনদেনগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ ও সংক্ষিপ্ত আকারে যে হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে নগদ প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব বলে।
 
প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব সর্বদা ডেবিট উদ্বৃত্ত প্রকাশ করে।
প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবে অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের যে কোন হিসাব বছরের নগদ প্রাপ্তি ও প্রদান লিপিবদ্ধ করা হয়।
প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাবে সমন্বয় লিপিবদ্ধ করা হয় না।
প্রাপ্তি ও প্রদান হিসাব নগদান বইয়ের একটি সার-সংক্ষেপ।
 
আয়-ব্যয় হিসাব
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সমূহ একটি নির্দিষ্ট হিসাব বছর শেষে মুনাফা জাতীয় আয়-ব্যয় নিয়ে যে হিসাব প্রস্তুত করে তাকে আয়-ব্যয় হিসাব বলে।
 
আয়-ব্যয় হিসাবের ডেবিট পার্শে মুনাফা জাতীয় ব্যয় ও ক্রেডিট পাশে মুনাফা জাতীয় আয় লিপিবদ্ধ করা হয়।
আয়-ব্যয় হিসাবে মূলধন জাতীয় আয়-ব্যয় লিপিবদ্ধ করা হয় না।
শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট হিসাব বছরের মুনাফা জাতীয় আয়-ব্যয় লিপিবদ্ধ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট হিসাব বছরের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সমূহ আয়-ব্যয় হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।
আয়-ব্যয় হিসাবের ক্রেডিট ব্যালেন্স ব্যয় অতিরিক্ত আয় ও ডেবিট ব্যালেন্স আয় অতিরিক্ত ব্যয় নির্দেশ করে।
 
মুনাফা জাতীয় আয়-ব্যয় : যে সব আয়-ব্যয়ের কার্যকারিতা একটি হিসাবকালের মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাদেরকে মূলধন জাতীয় আয়-ব্যয় বলে।
 
উদ্বৃত্তপত্র
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্তপত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্তপত্রের অনুরূপ। অর্থাৎ এক পার্শ্বে সম্পদ সমূহ এবং অন্য পাশে দায় সমূহ ও মূলধন তহবিল লিপিবদ্ধ করা হয়।
 
মূলধন তহবিল
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ও দায়ের পার্থক্যকে মূলধন বলে। এখানে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ও দায়ের পার্থক্যকে মূলধন তহবিল বলে।
 
বিশেষ তহবিল
অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে তহবিল গঠন করলে তাকে বিশেষ তহবিল বলে। যেমনঃ উন্নতি তহবিল, বৃত্তি তহবিল। এইসব তহবিল উদ্বৃত্তপত্রের দায় পার্শ্বে লিপিবদ্ধ

 

 

কুইজ