শওকত ওসমান
সংকলিত- ‘শওকত ওসমানের নির্বাচিত গল্প’ (১৯৮৪)
চরিত্র
সাজ্জাদ- মূল বক্তা। নবীগঞ্জের সার্কেল অফিসার ছিলো।
নাসির মোল্লা- বক্তার বন্ধু (নাসির)। সৌদামিনীর গল্প বলেন।
ব্রাদার জন- একবার কেরোসিন ব্ল্যাকমার্কেট করার অপরাধে নাসিরের কোর্টে কাঠগড়ায় দাড়িয়েছিলো। সৌদামিনীকে কব্জা করে সৌদামিনীর সম্পত্তি কৌশলে চার্চের নামে লিখিয়ে নেয়।
সৌদামিনী মালো- প্রধান চরিত্র। নবীগঞ্জের অধিবাসিনী। স্বামীর নাম জগদীশ মালো।
জগদীশ মালো- সৌদামিনী মালোর স্বামী, পেশায় আরদালি। বেজায় তুখোড় লোক। প্রভূর মন যুগিয়ে চলার শিল্প সে বেশ রপ্ত করেছিল।
মনোরঞ্জন মালো- জগদীশ মালোর নিকটাত্মীয়, জেঠতুতো দাদা। স্বদেশী করতো। সৌদামিনীর সম্পত্তির দিকে লোভ ছিলো।
হরিদাস- সৌদামিনী পোষ্যপুত। যখন সৌদামিনী ঘরে আনে, তখন বছর দুয়েকের শিশু। চেহারাটা ফর্সা, বেশ খাড়া নাক। আর চোখ দুটো ঝিলিকে ঠাসা। মনোরঞ্জন দাবি করেছিলো হরিদাস ব্রাহ্মণ, কিন্তু আসলে সে মুসলমান। ঘরে আনার সময় বয়স বছর দুয়েক ছিলো না, যখন পায়, তখনই বয়স ছিলো বছর তিনেক। ‘কিন্তু অনাহারে অনাহারে দেড় বছরের বেশি দেখায় না।’
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উদ্ধৃতি
সৌদামিনীর সম্পত্তি- এক প্লটে বারো ‘কানি’ জমি। পুকুর। আরো আছে তিন একর জমির ওপর বসতবাড়ি, পুকুর, গাছপালা, দশটা নারিকেল গাছ, লিচুগাছ পাঁচটা, আরো ফ্রুট-ফলের গাছ আছে। দাম কমসে কম পঁচিশ হাজার টাকা। নিলামে পয়লা ডাক ছিল পাঁচ হাজার। ব্রাদার জন প্রথমদিনের নিলাম শেষ করেন দশ হাজার একশ টাকায়।
নজরুলের ‘মৃত্যু-ক্ষুধা’র উল্লেখ আছে।
সেখানে কালো আর ফিকে সবুজ রং খেলা করছে মুহুর্তে মুহুর্তে।– ব্রাদার জনের সম্পর্কে
যেন গির্জার পুলপিট অর্থাৎ প্রচারবেদী থেকে সার্মন দিচ্ছে এমনই কণ্ঠস্বর- ব্রাদার জনের সম্পর্কে
উদ্দেশ্য দিয়েই উপায়ের বিচার করা উচিত।– ব্রাদার জন
আর সে তো মিশরের সম্রাট হতে চায়নি।– জগদীশ মালো সম্পর্কে
কু-লোকেরা রটিয়ে দিলো সৌদামিনী তাকে (জগদীশ মালোকে) বিষ খাইয়েছে।
অস্ত্রখানা তখনও সৌদামিনীর কাছে আছে।– একটা বন্দুক
শোন আভাগীর ব্যাটারা, ধর্মপুত্তুর যুধিষ্ঠিরের দল... আমার হরিদাস শূদ্রও নয়, ব্রাহ্মণও নয়।
আমার হরিদাস মুসলমান।
যেন বাজ পড়ল উপস্থিত জনতার ওপর।
সৌদামিনী মালো’র প্রথম বাক্য- একটু দাঁড়াও।
সৌদামিনী মালো’র শেষ বাক্য- আজই জানতে পারলাম, এতোদিনে হতভাগীর হাড় জুড়িয়েছে।
শব্দার্থ ও টীকা
গেরো- বন্ধন
টন্নি- আমমোক্তার
জনান্তিকে- সংগোপনে
নাদারাৎ- বিহীন, শূণ্য, অভাব, নাই
সার্মান- গির্জার বেদী থেকে প্রদত্ত ধর্মীয় বা নৈতিক অভিভাষণ
বয়ান- বিবরণ
গুম- লোপাট
খাঁই- কামনা-বাসনা
রবদব- জাঁকজমক
অবরে-সবরে- সময়ে-অসময়ে, কালেভদ্রে
জের- রেশ, অনুবৃত্তি
আদাওতি- শত্রুতা, বিদ্বেষ
মালুম- অনুভূত, বোধগম্য
তাপহর- উত্তাপ দূর করে এমন
মাহিস্য- কৈবর্ত জাতি
মজকুর- পূর্ববর্ণিত
রোয়াব- সম্ভ্রম
জান্তা- আক্রমণকারী (জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক চক্র)
মুখজবানি- মুখের ভাষায়
কোটাল- ভরা জোয়ার
Bid- নিলাম
sheer- নির্ভেজাল
Hypocrisy- ভণ্ডামি
Baptist mission- খ্রিস্ট ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রচার ও দীক্ষা কেন্দ্র
Circle Officer- কার্যক্রম পরিমণ্ডলের কর্মকর্তা
Dispensary- ঔষধ প্রদান কেন্দ্র
Strategy- রণনীতি, কৌশল
Donor- দাতা
লেখক পরিচিতি
জন্ম : ১৯১৭, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবল সিংহপুরে
মৃত্যু : ১৯৯৮, ঢাকায়
গ্রন্থ- (৮০টিরও বেশি)
উপন্যাস- বনি আদম, চৌরসন্ধি, জাহান্নাম হইতে বিদায়, রাজা উপাখ্যান, নেকড়ে অরণ্য, ক্রীতদাসের হাসি, পতঙ্গ পিঞ্জর
ছোটগল্পগ্রন্থ- পিঁজরাপোল, প্রস্তর ফলক, জন্ম যদি তব বঙ্গে
নাটক- আমলার মামলা, তস্কর ও লস্কর
ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ
লিঙ্ক- বাগধারা, বাক্য রূপান্তর (সাধু থেকে চলিত), পারিভাষিক শব্দ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
- ‘আজই জানতে পারলাম, এতোদিনে হতভাগীর হাড় জুড়িয়েছে।’ এটি কোন গল্পের শেষ বাক্য? (ঘ-২০০০-০১)
- ‘উদ্দেশ্য দিয়েই উপায়ের বিচার করা উচিত’।– বাক্যটি আছে যে রচনায় তার নাম (ঘ-২০০৩-০৪)
- ‘সেখানে কালো আর ফিকে সবুজ রং খেলা করছে মুহুর্তে মুহুর্তে।’ বাক্যটি কোন রচনা থেকে নেয়া হয়েছে? (ঘ-২০০৪-০৫)
- ‘আর সে তো মিশরের সম্রাট হয়নি।’ ‘সৌদামিনী মালো’ গল্পে কার কথা বলা হয়েছে? (ঘ-২০০১-০২)
- ‘অস্ত্রখানা তখনও সৌদামিনীর কাছে আছে।’ কী অস্ত্র? (ক-২০০৫-০৬)
- ‘যেন বাজ পড়ল উপস্থিত জনতার ওপর।’ এই বাক্যটি যে রচনায় আছে তার নাম- (ক-২০০৬-০৭)
- ‘ক্ষুধার্ত কালেভদ্রে অপরের খাওয়া দেখেও নাকি শান্তি পায়’- বাক্যটির লেখক: (গ-২০০৫-০৬)
- শওকত ওসমানের আসল নাম: (গ-২০০৪-০৫)
- শওকত ওসমানের প্রকৃত নাম- (গ-২০০৩-০৪)
- শওকত ওসমান- এর কালোত্তীর্ণ উপন্যাসের নাম- (গ-২০০৩-০৪)
- কারা সৌদামিনী মালোর বাড়িতে হামলা করেছিল? (গ-২০০২-০৩)