প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টা অত গুরুত্বপূর্ণ না। তবে এখান থেকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন আসে।

অধ্যায় সারবস্তু:

১. পর্যায়ক্রমিক মাইটোটিক ও মায়োটিক বিভাজনের মাধ্যমে জননকোষ উৎপন্ন হয়। পুরুষ জননকোষ শুক্রাণু, স্ত্রী জননকোষ ডিম্বাণু।
২. মুখ্য বা প্রাইমারী স্পার্মাটোসাইটে প্রথম মায়োটিক বিভাজন ঘটে। প্রত্যেকটি সেকেন্ডারি স্পার্মাটোসাইট দ্বিতীয় মায়োটিক বিভাজন শেষে দু’টি করে মোট চারটি স্পার্মাটিড উৎপন্ন করে।

৩. শুক্রাণু-নিউক্লিয়াসের সম্মুখ প্রান্তে অনেকটা সূচালো অ্যাক্রোসোম গঠিত হয়।

৪. শুক্রাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে স্পার্মাটোজেনেসিস বলে। আর ডিম্বাণূ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে উওজেনেসিস বলে।

৫. ওজনে ভারী হওয়ায় কুসুম ডিমের নিম্নপ্রান্তে জমা হয়। ওই প্রান্তকে “ভেজিটাল পোল” বলে। ডিম্বাণূ-নিউক্লিয়াসটি ডিম্বাণূর উর্ধ্বপ্রান্ত জুড়ে থাকে, তাকে অ্যানিমেল পোল বলে।

৬. স্তন্যপায়ী ডিমের প্রাইমারি ডিম্বঝিল্লীকে “জোনা পেলুসিডা” বলা হয়।

৭. একটি জনন মাতৃকোষ থেকে চারটি সক্রিয় শুক্রাণু সৃষ্টি হয়, কিন্তু স্ত্রী জনন মাতৃকোষ থেকে একটি সক্রিয় ডিম্বাণু ও তিনটি ভূমিকাহীন পোলার বড়ি সৃষ্টি হয়।

৮. তিনটি ভ্রূণীয় স্তরের পরিণতির ছক

ভ্রণীয় স্তর

পূর্ণাঙ্গ প্রাণিদেহে যে অংশ গঠিত হয়

এক্টোডার্ম (বাইরের স্তর)

১. বাইরের দিকের ত্বকের বিভিন্ন অংশ, যেমন চুল, নখ, শিং. পালক, ক্ষুর, আঁইশ, তুকীয় গ্রন্থি ইত্যাদি

২. চোখ, অন্তঃকর্ণ, মৌখিক গহ্‌বর (দাঁতের এনামেলসহ)

৩. সমগ্র স্নায়ুতন্ত্র ও কিছু পেশী

মেসোডার্ম (মাঝের স্তর)

১. কঙ্কালতন্ত্র (ত্বকের নিচের অংশ)

২. রক্ত সংবহনতন্ত্র

৩. পৌষ্টিক নালীর বহিঃস্তর

৪. অধিকাংশ পেশী, মেদকলা ও অন্যান্য যোজক কলা

এন্ডোডার্ম (ভেতরের স্তর)

১. শ্বসনতন্ত্র, যকৃত, অগ্ন্যাশয়, থাইরয়েড ও থাইমাস গ্রন্থি

২. পৌষ্টিক নালীর আবরণ