সুফিয়া কামাল
প্রথম প্রকাশ- ১৯৩৫ সালে মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকার নবম বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যায় (১৩৪২ বঙ্গাব্দে)
ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত; ৮ ও ১০ মাত্রার পর্ব
সংলাপনির্ভর গঠনরীতি; সংলাপ কবি ও কবিভক্তের মধ্যে। তার মধ্যে কবিভক্তকেই মূল বক্তা বলে প্রতীয়মান হয়।
অনেকের মতে, এ কবিতায় কবির ব্যক্তিজীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। কবির স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে কবির জীবনে যে শূণ্যতা নেমে আসে, তারই প্রকাশ ঘটেছে এই কবিতায়।
সুফিয়া কামালের স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেন মারা যান- ১৯৩২ সালে
উল্লেখ আছে- বাতাবি নেবু, আমের মুকুল, মাধবী কুঁড়ি
মাঘের সন্ন্যাসী- শীতকাল
বসন্ত বন্দনায় বিমুখতার কারণ- শীতকালের/মাঘের সন্ন্যাসী রিক্ত বিদায় (এটা উত্তরে না থাকলে ‘প্রিয়জন হারানোর বেদনা’ উত্তর দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ‘শীতকাল’ বা ‘মাঘের সন্ন্যাসী’র উল্লেখ থাকলে সেটাই উত্তর হবে।)
“কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূণ্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে।”
শব্দার্থ ও টীকা
বরিয়া- বরণ করে
লবে- নেবে
সমীর- বাতাস
উন্মনা- অন্যমনস্ক, অনুৎসুক
অলখ- অলক্ষ, দৃষ্টির অগোচর
পাথার- সমুদ্র
রচিয়া- রচনা করে
লহ- নাও
বন্দনা- স্তুতি
পুষ্পারতি- ফুলের বন্দনা বা নিবেদন
মাধবী- বাসন্তীলতা বা তার ফুল
অর্ঘ্যবিরচণ- অঞ্জলি বা উপহার রচনা।
কুহেলি- কুয়াশা
উত্তরী- চাদর, উত্তরীয়
লেখক পরিচিতি
জন্ম : ১৯১১, বরিশালে
মৃত্যু : ১৯৯৯, ঢাকায়
পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা
বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি; স্বশিক্ষায় শিক্ষিত
গ্রন্থ-
কাব্যগ্রন্থ- সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, কেয়ার কাঁটা, উদাত্ত পৃথিবী
(সাঁঝের মায়া কাব্যের ভূমিকা লিখে দেন কাজী নজরুল ইসলাম)
ভাষা অনুশীলন/ব্যাকরণ অংশ
লিঙ্ক- ব্যুৎপত্তি, বানান, না-বাচক ক্রিয়া বিশেষণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
- ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় বসন্ত বন্দনায় কবির বিমুখতার কারণ (ঘ-১৯৯৯-২০০০)
- ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি ‘মাঘের সন্ন্যাসী’ বলতে বুঝিয়েছেন (ঘ-২০০৫-০৬)
- ‘এখনো দেখ নি তুমি?’- বাক্যের ‘নি’ হচ্ছে (ঘ-২০১০-১১)
- ‘কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী ... গিয়াছে চলিয়া ...’- এখানে উত্তরী কোন ধরনের শব্দ? (গ-২০০৪-০৫)