লিঙ্ক: বাংলার ইতিহাস: প্রাচীন আমল- ১

 

[মৌর্য সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন সুলতানী আমল]

 

মৌর্য সাম্রাজ্য

প্রতিষ্ঠাতা- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

রাজধানী- পাটলীপুত্র

প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য- মৌর্য সাম্রাজ্য

প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপন করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

সম্রাট অশোক- মৌর্য সম্রাট

কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন

 

মৌর্যবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়)

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য> বিন্দুসর> সম্রাট অশোক> দাশরথ> সম্প্রতি> সালিশুকা> দেববর্মণ> শতধনবান> বৃহদ্রথা

 

গুপ্ত সাম্রাজ্য

প্রতিষ্ঠাতা- শ্রীগুপ্ত (উত্তরে শ্রীগুপ্ত না থাকলে চন্দ্রগুপ্ত বা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত উত্তর করতে হবে)

গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর রাজধানী- পাটলীপুত্র

সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা- অশ্বমেধ পরিক্রমা

ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি- বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর

কালিদাস- গুপ্ত যুগের কবি

কালিদাসের মহাকাব্য- মেঘদূত

 

গুপ্তবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়)

শ্রীগুপ্ত> ঘটোৎকচ> প্রথম চন্দ্রগুপ্ত> নিশামুসগুপ্ত> সমুদ্রগুপ্ত> রামগুপ্ত> দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত> প্রথম কুমারগুপ্ত> স্কন্ধগুপ্ত> পুরুগুপ্ত> দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত> বুদ্ধগুপ্ত> নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য> তৃতীয় কুমারগুপ্ত> বিষ্ণুগুপ্ত> বৈন্যগুপ্ত> ভানুগুপ্ত

 

[গুপ্ত বংশের পতনের পর বাংলায় এক  অরাকজ অবস্থার উদ্ভব হয় । সে সময়ে কোন শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন না থাকায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলো স্থানীয় শাসনকর্তার উদ্ভব হয় এবং তারা তাদের ইচ্ছেমত শাসন করতে থাকে । এই নেতৃত্বহীন অরাজক সময়টাকে ইতিহাসে ‘মাৎসান্যায়’ বলে অভিহিত করা হয়েছে ।

এ অরাজক অবস্থার অবসান হয় বাংলার প্রথম স্বাধীন সম্রাট শশাঙ্ক গৌড়ের সিংহাসনে বসলে । ধারণা করা হয়, তিনি বাঙালি বা স্থানীয় ছিলেন । সেই হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আগে শশাঙ্কই বাংলার সর্বশেষ বাঙালি অধিপতি ।]

 

গৌড় বংশ

প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাজা- শশাঙ্ক

গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- শশাঙ্ক

শশাঙ্কের উপাধি- মহাসামন্ত, রাজাধিরাজ

শশাঙ্কের রাজধানী- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ)

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন- রাজা হর্ষবর্ধন

হর্ষবর্ধনের সভাকবি- বাণভট্ট

 

পাল বংশ

প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল

শ্রেষ্ঠ রাজা- ধর্মপাল

পাল বংশের রাজারা রাজত্ব করেন- ৪০০ বছর

সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন- ধর্মপাল

সোমপুর বিহার- নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর

বাংলায় পাল বংশের শেষ রাজা- রামপাল

 

পালবংশের রাজাদের ক্রম (সকলের সময়েই বাংলা পাল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, এমন নয়; বিশেষত শেষ রাজাদের সময়ে)

প্রথম গোপাল> ধর্মপাল> দেবপাল> মহেন্দ্রপাল*> নারায়ণপাল> রাজপাল> দ্বিতীয় গোপাল> দ্বিতীয় বিগ্রহপাল> প্রথম মহীপাল> ন্যায়পাল> তৃতীয় বিগ্রহপাল> দ্বিতীয় মহীপাল> দ্বিতীয় সূরপাল> রামপাল> কুমারপাল> তৃতীয় গোপাল> মনদপাল> গোবিন্দপাল

*মহেন্দ্রপালের অপর দুটি নাম- প্রথম সূরপাল ও প্রথম বিগ্রহপাল

 

সেন বংশ

প্রতিষ্ঠাতা- হেমন্ত সেন

শেষ্ঠ রাজা/সম্রাট- বিজয়সেন

বিজয় সেনের উপাধি- গৌড়েশ্বর

বল্লাল সেনের রচনা- দানসাগর, অদ্ভূত সাগর

সেন বংশের শেষ রাজা- লক্ষণ সেন

বাংলার শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন

লক্ষণ সেনের উপাধি- পরমেশ্বর, পরম ভট্টারক, মহারাজাধিরাজ

বখতিয়ার খিলজী বাংলা আক্রমণ করেন- ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে

 

সেনবংশের রাজাদের ক্রম (লক্ষ্মণ সেনের শাসনামলের শেষদিকে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বক্তিয়ার খিলজীর কাছে পরাজিত হয়ে সেন সাম্রাজ্য বাংলার শাসনাধিকার হারায়; বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন কেউ-ই বাংলা শাসন করেননি)

হেমন্ত সেন> বিজয় সেন> বল্লাল সেন> লক্ষ্মণ সেন> বিশ্বরূপ সেন> কেশব সেন

 

বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী

মৌর্য বংশ

গৌড়

গুপ্ত বংশ

গৌড়

গৌড় (শশাঙ্ক)

কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ)

মৌর্যযুগ

পুণ্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়)

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

পাটলিপুত্র

ঈশা খাঁ

সোনারগাঁও

পুণ্ড্র জনপদ

পুণ্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়)

লক্ষণ সেন

নদীয়া বা নবদ্বীপ

গুপ্ত রাজবংশ

বিদিশা

বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা

প্রথম বাংলা বিজয়- ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী

বখতিয়ার খিলজী পরাজিত করেন- লক্ষণ সেন

বখতিয়ার খিলজী বাংলা বিজয় করেন- ১২০৪ সালে

 

গজনী বংশ

সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেন- সুলতান মাহমুদ (১০২৬ খ্রিস্টাব্দ)

সুলতান মাহমুদের সভাকবি- ফেরদৌসী

ফেরদৌসীর অমর কাব্যগ্রন্থ- শাহনামা

ফেরদৌসীকে বলা হয়- প্রাচ্যের হোমার

সুলতান মাহমুদের দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ- আল বেরুনী

 

স্বাধীন সুলতানী আমল

স্বাধীন সুলতানী আমল

ইলিয়াস শাহী বংশ

ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ

১ম স্বাধীন সুলতান

ইবনে বতুতার আসেন

ইবনে বতুতা মরক্কোর অধিবাসী

শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ

বাংলার ১ম মুসলিম সুলতান

সকল জনপদ একত্রে ‘বাংলা/বাঙ্গালা’

অধিবাসী- ‘শাহ-ই-বাঙ্গালা’

আশ্রয় নেন- একডালা দূর্গে

সুলতান সিকান্দার শাহ

নির্মাণ করেন- পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ

ফিরোজ শাহের সঙ্গে যু্দ্ধ করেন- একডালা দূর্গে

গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ

পারস্যের কবি হাফিজের সঙ্গে সুসম্পর্ক

কবি হাফিজকে আমন্ত্রণ জানান

চিনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক ছিল

(রাজা গণেশ; মাঝের কিছু সময় রাজা গণেশ ও তার বংশধররা শাসন করেন)

নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ

নির্মাণ করেন- ষাটগম্বুজ মসজিদ

হুসেন শাহী বংশ

আলাউদ্দীন হুসেন শাহ

নির্মাণ করেন- গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ

নাসিরউদ্দীন নুসরাত শাহ

গৌড়ের বড় সোনা মসজিদ

কদম রসুল

গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ

শেষ স্বাধীন সুলতান

 

লিঙ্ক : বাংলার ইতিহাস: প্রাচীন আমল -৩ (মোঘল আমল )