অধ্যায় সারবস্তু:
ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ (Pteridophyta):
১. সকল পরিবাহী উদ্ভিদ ট্রাকিওফাইটার অন্তর্ভুক্ত।
২. Filicinae শ্রেণির উদ্ভিদসমূহ কে ফার্ন বলা হয়।
৩. ফার্নের ফুল, ফল বা বীজ হয় না।
৪. ফার্নের গ্যামেটোফাইটিক অবস্থাকে প্রোথ্যালাস বলে। (প্রো+থ্যালাস)
৫. ফার্নের জীবনচক্রে সুস্পষ্ট জীবনচক্র আছে।
৬. ফার্ন স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ। (মিয়োসিস কোষ বিভাজনে যেহেতু স্পোর তৈরি করে)
৭. Pteris-এর কাণ্ড রাইজোমে রূপান্তরিত।
৮. ফার্নের প্রোথ্যালাস সবুজ, হৃদপিণ্ডাকার ও সহবাসী।
৯. Pteris কে সান ফার্ন (Sun fern) বলা হয়।
১০. এর পাতাগুলো পক্ষল যৌগিক পত্র।
১১. কুণ্ডলিত ফ্রন্ডকে “সারসিনেট ভারনেশন” বলা হয়।
১২. অঙ্গজ বিভাজনে রাইজোমটি দু’টি ছোট অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
১৩. স্পোর গুলো স্পোরাঞ্জিয়া তে উৎপন্ন হয়।
১৪. স্পোর উৎপাদনকারী কোষে ১৬টি স্পোর মাতৃ কোষ সৃষ্টি হয়।
১৫. প্রোথ্যালাসের নীচের অংশে এককোষী রাইজয়েড জন্মায়।
১৬. ফার্নের জাইগোটকে উওস্পোর বলা হয়।
১৭. ফার্নের জীবনচক্রে সুস্পষ্ট দু’টি পর্যায় আছে, গ্যামিটোফাইটিক বা হ্যাপ্লয়েড এবং স্পোরোফাইটিক বা ডিপ্লয়েড।
১৮. একই প্রোথ্যালাসে অ্যান্থেরিডিয়াম ও আর্কিগোনিয়াম থাকে। নিচের দিকে অ্যান্থেরিডিয়াম ও উপরের দিকে আর্কিগোনিয়াম।
১৯. Selaginella দের ক্লাব মস বা স্পাইক মস বলা হয়।
২০. Equisetum হর্স টেল নামে পরিচিত। (এই ক্লাব মস, সান ফার্ন, হর্স টেল টার্মগুলো থেকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন আসে। সান ফার্ন সহজ, আর ইকুইজিটাম, খুবই সুন্দর সবুজ রঙের, যা দেখতে অনেকটা ঘোড়ার লেজের মত)
নগ্নবীজী উদ্ভিদ:
২১. জিমনোসপার্ম হচ্ছে নগ্নবীজি উদ্ভিদ। জিমনোস শব্দটার অর্থ নগ্ন। অ্যানজিওস্পার্ম বা আবৃতজীবী উদ্ভিদের “অ্যানজিওন” শব্দটার মানে ভেসেল।
২২. পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষ রেডউড, Sequoia gigantea একটি নগ্নবীজী উদ্ভিদ। জিম্নোস্পার্ম।এর উচ্চতা ৩৮০ফুট(১১৪ মিটার)।
২৩. মাইক্রো স্পোরোফিল বলা হয় পুংরেণুপত্রকে, আর মেগাস্পোরোফিল বলা হয় স্ত্রীরেণুপত্রকে।
২৪. জাইলেম টিস্যুতে ভেসেল ও ফ্লোয়েমে টিস্যুতে সঙ্গীকোষ অনুপস্থিত।
২৫. Cycus কে “পাম ফার্ন” বলা হয়।
২৬. Cycus এর মূল কোরালয়েড মূল।
২৭. Cycus উদ্ভিদের মাথায় লম্বা মোচার মত স্ট্রোবিলাস জন্মে। (স্ট্রোবিলাস-এর অর্থ ঘূর্ণিঝড়, পুংস্ট্রোবিলাস অনেকটা ওরকম দেখেই এরকম নাম হয়তো দেওয়া হয়েছে।)
২৮. Cycus কে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়, অতীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নগ্নজীবী উদ্ভিদের সাথে সাদৃশ্য আছে বলে।
২৯. Cycus এ দ্বিনিষেক ঘটে না , পরাগরেণু সরাসরি ডিম্বকের ডিম্বকরন্ধ্রের উপর পড়ে।
অ্যানজিওস্পার্ম বা আবৃতজীবী বা পুষ্পক উদ্ভিদ:
৩০. ক্রিটেশিয়াস (Cretaceous) যুগে প্রথম এ গাছপালার অভ্যুদয় ঘটে। (আমাদের বর্তমান যুগকে বলা হয় সিনোজোয়িক, এর আগেরটা হচ্ছে ফ্যানেরোজয়িক, যেখানে অনেক প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছিল, এর আগে হচ্ছে ক্রিটেশিয়াস, যে সময়ে আবৃতজীবী উদ্ভিদের অভ্যুদয় ঘটেছিল।)
৩১. বাংলাদেশে সাড়ে চার হাজার আবৃতজীবী উদ্ভিদ প্রাকৃতিকভাবে দেখতে পাওয়া যায়।
৩২. আবৃতজীবী উদ্ভিদের এন্ডোস্পার্ম টিপ্লয়েড। (দুইটা পোলেন-এর একটা ডিম্বাণুর সাথে মিলে এমব্রায়ো/জাইগোট/ভ্রূণ তৈরি করে, আর পোলার বডির দু’টি কোষের সাথে আরেকটা পোলেন মিলে ট্রিপ্লয়েড এন্ডোস্পার্ম তৈরি করে।)
(এন্ডোস্পার্ম হচ্ছে বীজের সে অংশ যা বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় শক্তি যোগায়, কারণ তখন তারা সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে না। যেমন ধানের ক্ষেত্রে চাল এন্ডোস্পার্ম)
৩৩. আবৃতজীবীতে দ্বিনিষেক ঘটে। (এজন্যই ট্রিপ্লয়েড এন্ডোস্পার্ম)
৩৪. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদকে বলা হয় Magnoliopsida, এবং একবীজপত্রী উদ্ভিদকে বলা হয় Liliopsida.
(ম্যাগনোলিয়া ফুল আর লিলি ফুল বেস করে করা শ্রেণিবিভাগ)
(আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখা যেতে পারে, “M”agnoliosida কিন্তু “M”onocot না। অর্থাৎ আদ্যাক্ষরে এভাবে মিল নাই)
৩৫. দ্বিবীজপত্রী ও একবীজপত্রী উদ্ভিদের মধ্যে মূল পার্থক্য:
ক. দ্বিবীজপত্রীতে প্রধান মূলতন্ত্র এবং একবীজপত্রীতে প্রধানত অস্থানিক গুচ্ছমূল তৈরি করে।
(দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বট গাছের মূল আর একবীজপত্রী উদ্ভিদ ধানের মূলের কথা ভাবা যেতে পারে কনফিউশন দূর করার জন্য)
খ. পাতার শিরাবিন্যাস জালিকাকার হয় দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদে আর সমান্তরাল হয় একবীজপত্রী উদ্ভিদে।
(আম,জাম যে কোন দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতা এমন জালিকাকার শিরাবিন্যাস বিশিষ্ট। আর একবীজপত্রীর ক্ষেত্রে, কলা, নারিকেল, ধান, এসব গাছের কথা ভাবা যেতে পারে যেখানে পাতা সমান্তরাল শিরাবিন্যাস বিশিষ্ট)
গ. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদে পুংস্তবকগুলো চার বা পাঁচের গুণিতক। আর একবীজপত্রীতে তিন বা তিনের গুণিতক।
ঘ. দ্বিবীজপত্রীর ভাস্কুলার বাণ্ডল বৃত্তাকারে সাজানো, কিন্তু একবীজপত্রীর ভাস্কুলার বাণ্ডল বিক্ষিপ্ত।
৩৬. গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নাম:
Zea mays = ভুট্টা (একবীজপত্রী)
Nymphaea nouchali = সাদা শাপলা (দ্বিবীজপত্রী)
Solanum melongena = বেগুন (দ্বিবীজপত্রী)
Psidium guajava = পেয়ারা (দ্বিবীজপত্রী)