প্রারম্ভিক আলোচনা:

এই অধ্যায়টি থেকে মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্ন আসে।

 

অধ্যায় সারবস্তু:

১. মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোসোমে সেন্ট্রোমিয়ার মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে, তাই ‘ V ’ এর মত দেখা যায়।

সাব-মেটাসেন্ট্রিক –এর ক্ষেত্রে সেন্ট্রোমিয়ার মাঝখানের চেয়ে একটু পাশে অবস্থান করে, তাই ‘ L ’ এর মত দেখা যায়।

অ্যাক্রোসেন্ট্রিক-এর ক্ষেত্রে সেন্ট্রোমিয়ার একেবারে প্রান্তের কাছাকাছি থাকে, তাই ইংরেজি ‘ J ’ এর মত দেখায়।

টেলোসেন্ট্রিক-এর ক্ষেত্রে সেন্ট্রোমিয়ার একেবারে প্রান্তে থাকে বলে ইংরেজি ‘ I ’ এর মত দেখায়।

২. উইলিয়াম বেটসন ১৯০৬ সালে সর্বপ্রথম Genetics শব্দটি ব্যবহার করেন।

৩. জীবের বাহ্যিক লক্ষণকে ফিনোটাইপ বলে, জীবের বাহ্যিক লক্ষণ নিয়ন্ত্রণকারী জিন যুগলের গঠনকে জিনোটাইপ বলে।

৪. গ্রেগর জোহান মেন্ডেলকে বংশগতির জনক বলা হয়। ১৮৬৫ সালে তিনি পরীক্ষার কাগজপত্র জমা দেন। ১৮৬৬ তে প্রকাশিত হয়।

৫. মটর ফুলের কিছু বৈশিষ্ট্য:

  • একবর্ষজীবী
  • উভলিঙ্গ
  • স্ব-পরাগী
  • ফুল আকারে বড়

৬. মেন্ডেলের প্রথম সূত্রের অপর নাম = মনোহাইব্রিড ক্রস সূত্র, জননকোষ শুদ্ধতার সূত্র বা পৃথকীকরণ সূত্র

৭. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের অপর নাম = স্বাধীনভাবে মিলনের বা বণ্টনের সূত্র

(মেন্ডেলের প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্র মূলত একই, প্রথম সূত্রের বর্ধিতকরণ হল দ্বিতীয় সূত্র। প্রথম সূত্রে একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয় ও দ্বিতীয় সূত্রে দুই বা ততোধিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে)

৮. মেন্ডেল মটরশুঁটি গাছের সাতটি বৈশিষ্ট্যের উপর পরীক্ষা চালান।

৯. প্রকট বৈশিষ্ট্যসমূহ: লম্বা, বীজ গোলাকার ও হলুদ, এবং প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যসমূহ যথাক্রমে খাটো, বীজ কুঞ্চিত ও সবুজ

১০. সন্ধ্যামালতী ফুলে সাদা ও লাল-এর মাঝামাঝি গোলাপী রঙের ফুল পাওয়ার কারণ = অসম্পূর্ণ প্রকটতা

 

১১. বিভিন্ন ফিনোটাইপিক অনুপাত:

মেন্ডেল-এর প্রথম সূত্রের ফিনোটাইপিক অনুপাত = ৩ : ১

মেন্ডেল-এর দ্বিতীয় সূত্রের ফিনোটাইপিক অনুপাত = ৯ : ৩ : ৩ : ১

অসম্পূর্ণ প্রকটতা এর ফিনোটাইপিক অনুপাত = ১ : ২ : ১

এপিস্ট্যাসিস-এর ফিনোটাইপিক অনুপাত = ১২ : ৩ : ১

পরিপূরক জিন-এর ফিনোটাইপিক অনুপাত = ৯ : ৭