সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
 
‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ (১৯৬৫) বই থেকে নেয়া হয়েছে।
 
চরিত্রসমূহ :
মতিন- ১ম আবির্ভূত। বাগানের শখ। এক সময় রেলওয়েতে কাজ করত।
আমজাদ- হুকার অভ্যাস আছে।
কাদের- গল্প প্রেমিক; ‘সাব-ইন্সপেক্টরের দ্বিতীয় বউ আমার এক রকমের আত্মীয়া।’
মোটা বদরুদ্দিন- অ্যাকাউন্টসের
ইউনুস- রোগাপটকা, যক্ষ্মা রোগী, কচ্ছদেশীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ম্যাকলিওড স্ট্রিটে থাকতো।
হাবিবুল্লা- বেসুরো হারমোনিয়ামে অবক্তব্য সঙ্গীত-সমস্যার স্রষ্টা
মোদাব্বের- তুলসী গাছ আবিষ্কার করে; কট্টরপন্থী; হুজুগে মানুষ।
ইউনুস- সর্দি (সুবিধাবাদী)
এনায়েত- মৌলভি ধরনের মানুষ। মুখে দাঁড়ি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও আছে, সকালে নিয়মিত ভাবে কুরআন-তেলাওয়াত করে।
মকসুদ- বামপন্থী ‘বামপন্থী মকসুদ আজ একা। তাই হয়তো তার বিশ্বাসের কাঁটা নড়ে। সংশয়ে দুলে দুলে কাঁটাটি ডান দিকে হেলে থেমে যায়।’
 
তুলসী গাছ
আবিষ্কার করে- মোদাব্বের
যখন আবিষ্কৃত হয় তখন- গাঢ় সবুজ পাতায় খয়েরি রং ধরেছে
মোদাব্বের তুলসী গাছ উপড়ে ফেলার কথা বলে তখন মতিনের- রেলওয়ে পট্টির কথা মনে হয়।... বিশাল ইয়ার্ডের পাশে রোদে শুকোতে-থাকা লাল পাড়ের একটি মসৃণ কালো শাড়ি সে যেন দেখতে পায়।
কেউ একজন পানি দিতো। পাতা সবুজ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পর থেকে আর কেউ তার গোড়ায় পানি দেয়নি। তুলসী গাছটা আবার শুকিয়ে যায়। তার পাতায় খয়েরি রং।
 
বাড়িটা- ধনুকের মতো বাঁকা কংক্রিটের পুলটার পরেই। দোতলা, উঁচু এবং প্রকাণ্ড। তবে রাস্তা থেকে সরাসরি দণ্ডায়মান।... পেছনে অনেক জায়গা। প্রথমত প্রশস্ত উঠান। তারপর পায়খানা-গোসলখানার পরে আম-জাম-কাঁঠাল গাছে ভরা জঙ্গলের মতো জায়গা। সেখানে কড়া সূর্যালোকে ও সূর্যাস্তের ম্লান অন্ধকার এবং আগাছায় আবৃত মাটিতে ভ্যাপসা গন্ধ।
 
‘সত্য কথা বলতে দোষ কী? সাব-ইন্সপেক্টরের দ্বিতীয় বউ আমার এক রকম আত্মীয়া’- কাদের
হাতে বন্দুক থাকলে নিরীহ মানুষেরও দৃষ্টি পড়ে পশুপাখির দিকে।
‘আমরা কি গভর্নমেন্টের লোক নই?’- মকসুদ
‘অন্যের অপমান দেখার নেশা বড় নেশা
পরিত্যক্ত বাড়ি চিনতে দেরি হয় না। কিন্তু এমন বাড়ি পাওয়া নিতান্ত সৌভাগ্যের কথা।
১ম বাক্য- ধনুকের মতো বাঁকা কংক্রিটের পুলটার পরেই।
শেষ বাক্য- কেন পড়েনি, সে কথা তুলসী গাছের জানবার কথা নয়, মানুষেরেই জানবার কখা।
 
শব্দার্থ ও টীকা
গুড়গুড়ি- আলবোলা, ফরাশ
জৌলুস- জেল্লা, চাকচিক্য, ঔজ্জ্বল্য, জাঁকজমক
কচ্ছদেশীয়- গুজরাটের উত্তরে অবস্থিত সমুদ্রতীরবর্তী স্থানের
বামপন্থী- সাম্যবাদী, প্রগতিবাদী, বিপ্লবী রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী
রিকুইজিশন- তলব করা
কড়িকাঠ- ছাদের তলায় দেওয়া আড়াআড়ি লম্বা কাঠ
 
লেখক পরিচিতি
জন্ম- ১৫ আগস্ট ১৯২২ (চট্টগ্রাম)
মৃত্যু- ১০ অক্টোবর ১৯৭১ (প্যারিস)
গ্রন্থ-
উপন্যাস- লালসালু, কাঁদো নদী কাঁদো, চাঁদের অমাবস্যা
গল্পগ্রন্থ- নয়নচারা, দুই তীর
নাটক- বহিপীর, তরঙ্গভঙ্গ, সুড়ঙ্গ
 
ভাষাভিত্তিক/ব্যাকরণ অংশ
 
লিঙ্ক- বাগধারা, সমাস, বাক্য রূপান্তর (অস্তি থেকে নেতিবাচক, নেতি থেকে অস্তিবাচক), (চলিত থেকে সাধু)
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন

  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’ গল্পে বামপন্থী বলে স্বীকৃত লোকটির নাম- (ক-২০০৭-০৮)
  • শেষ পর্যন্ত তুলসী গাছের রং কী হল? (ক-২০০৮-০৯)
  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’ গল্পে কোন রঙের শাড়ি হাওয়ায় দুলেছিলো? (ঘ-২০০৫-০৬)
  • ‘অন্যের অপমান দেখার নেশা বড় নেশা’- উক্তিটি কোন লেখায় পাওয়া গেছে? (ঘ-২০০১-০২)
  • পরিত্যক্ত বাড়ি চিনতে দেরি হয় না। কিন্তু এমন বাড়ি পাওয়া নিতান্ত সৌভাগ্যের কথা।’- একটি তুলসী গাছের কাহিনী’ গল্পে উক্তিটি কার? (ক-২০০৬-০৭)
  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’ গল্পের কোন চরিত্রের সঙ্গে পাঠকের প্রথম পরিচয় ঘটে? (ক-২০০৫-০৬)
  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’- রচনাটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর কোন রচনার অন্তর্গত? (গ-২০০৯-১০)
  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’ গল্পে বেসুরো হারমোনিয়াম এনেছিল কে? (গ-২০০৮-০৯)
  • ‘একটি তুলসী গাছের কাহিনী’তে বামপন্থী কে ছিল? (গ-২০০৭-০৮)
  • ‘গল্পপ্রেমিক’ কোন জাতীয় সমাসবদ্ধ পদ? (গ-২০০৭-০৮)
  • ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ লিখেছেন- (গ-২০০৩-০৪)
  • ‘উপড়ে ফেলতে হবে ওটা।’ ওটা- (গ-২০০৩-০৪)
  • নিচের কোনটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাহিত্যকর্ম নয়? (গ-২০০২-০৩)