ছবি

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করার যোগ্যতা রয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৬৫০ জন শিক্ষার্থীর। কিন্তু সব মিলিয়ে ঢাবির সম্মান শ্রেণির আসন রয়েছে ছয় হাজারের কিছু বেশি।

বিভিন্ন অনুষদের ডিন অফিসে সুত্রে জানা যায়, ক- ইউনিটে আসন রয়েছে ১৫৯৩টি, খ- ইউনিটে প্রায় ২৪০০টি, গ-ইউনিটে ১০৭৫টি, ঘ-ইউনিটে প্রায় ১ হাজার এবং চ-ইউনিটে আসন রয়েছে মাত্র ১২৫টির মতো।

ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ’র যোগফল (চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে), যা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮, মানবিক বিভাগের জন্য ৭ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ৭.৫ পয়েন্ট
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২০১২ ও ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা এবং ভর্তির শর্ত পূরণ করা ফলাফলধারীর সংখ্যা ক ইউনিটে (বিজ্ঞান অনুষদ) ১ লাখ ৩২ হাজার ৬১৩ জন, খ-ইউনিটে (কলা অনুষদ) ২ লাখ ২৪২ জন, গ-ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭২২ জন, ঘ-ইউনিটে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৭ জন এবং
চ-ইউনিটে (চারুকলা অনুষদ) ৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৮৬ জন রয়েছে। এরা সবাই ঢাবিতে ভর্তির শর্ত সাপেক্ষে আবেদন করার যোগ্য।

এরা সবাই যদি আবেদন করে তাহলে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থী দাঁড়ায় প্রায় ২৬৪ জন।

ভর্তি পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ২ লাখ ৯ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছেন  ৩৬ হাজার ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ মাত্র ১৭.৩১% শিক্ষার্থী পাশ করে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। এর মধ্যে বিষয় ভিত্তিক সিট খালি থাকা সাপেক্ষে যাদের মেধাস্থান ওপরের দিকে তারাই কেবল ভর্তি হতে পেরেছেন।

ঢাবিতে মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়ার জন্য ন্যূনতম ৪৮ নম্বরের প্রয়োজন। তবে ইউনিট ভিত্তিক মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার আলাদা আলাদা শর্ত রয়েছে। তাই অনেকে আবার মোট ৪৮ নম্বর পেলেও নির্দিষ্ট ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক পাশ নম্বর পেতে ব্যর্থ হয়।

খ-ইউনিটে (কলা অনুষদ) ও ঘ-ইউনিটে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) বিষয়ে আলাদা আলাদা পাশ নম্বর (৩০ এ ৮) সহ ভর্তি পরীক্ষায় ১২০ এর মধ্যে ৪৮ নম্বর পেতে হয়।

গ-ইউনিট ( ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) মেধা তালিকায় স্থান পেতে হলে ইংরেজিতে ১২ সহ মোট ১২০ নম্বর এর মধ্যে ৪৮ পেতে হয়।

তবে ক- ইউনিটে পাশ নম্বর ৪৮ পেলেই মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয় এবং চারুকলা অনুষদে ব্যবহারিক ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে আলাদা আলাদা পাশ নম্বর রয়েছে।